ডিএ মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্য সরকার। তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) দিতে হবে। এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ডিএ কর্মীদের মৌলিক ও আইনত অধিকার। মহার্ঘভাতা নিয়ে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা স্যাট যে রায় দিয়েছে তা ৩ মাসের মধ্যে কার্যকর করতে হবে।
শুক্রবার DA মামলার রায় ঘোষণা করে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “কেন্দ্রীয় হারেই ডিএ দিতে হবে সরকারি কর্মীদের। DA হচ্ছে মৌলিক অধিকার। সরকারের যারা মূল শক্তি, তাঁদের দাবিকে এভাবে অস্বীকার করা যায় না। তাঁদের DA অস্বীকার করলে, সেটা ডিমোরালাইজ করা হবে। স্যাট যথাযথ রায় দিয়েছিল।” ২০০৯-এর জুলাই মাস থেকে বকেয়া DA দিতে নির্দেশ। যা নিঃসন্দেহে চাপ তৈরি করবে রাজ্যের উপর।
রাজ্য সরকারের কৌসুলিদের যুক্তি খারিজ করে দিয়ে আদালত জানিয়ে দেয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে মহার্ঘ ভাতা অন্যরকম ছিল। ১৯৪৭ সালে প্রথম বেতন কমিশন গঠন হওয়ার পর থেকেই DA বেতনের অংশ হিসাবে বিবেচিত। জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি হলে সরকারকে ডিএ দিতেই হবে। হাই কোর্টের নির্দেশ, “রাজ্য সরকার অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী DA দিতে বাধ্য। রাজ্য সরকারি কর্মীরা ডিএ পাবেন ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী। ৩ মাসের মধ্যেই রাজ্য সরকারকে কর্মীদের ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে।”