ঠিকাদারদের ‘ঘুঘুর বাসা’ ভাঙার হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক। শনিবার হলদিয়ায় দলের শ্রমিক সংগঠনের সভাবেশে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের সভায় তিনি বলেন, ঠিকাদারি করব, শ্রমিকদের বেতন থেকে টাকা কেটে নিয়ে তাদের বঞ্চিত করব, এসব চলবে না। আমার কাছে পে-স্লিপ রয়েছে কোন ঠিকাদার কী করেছেন। একটি সংস্থায় সেপ্টেম্বর মাসে একজন ওভারটাইম করে মাইনে পেয়েছেন ৬১ হাজার টাকা। ফেব্রুয়ারি মাসে তার মাইনে হয়ে গেল ২৫ হাজার ১৫৬ টাকা। কেন হচ্ছে এটা? আর তিন মাসের মধ্যে হলদিয়ায় ঠিকাদার থাকবে না বলেও কথা দেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
একুশের বঙ্গ বিধানসভা ভোটের পর এই প্রথমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে পা রাখলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। হলদিয়া (Haldia) শিল্পতালুকের শ্রমিক সমাবেশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজেকে ‘শ্রমিকবন্ধু’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন অভিষেক। সেখান থেকে সাফ বার্তা, “আপনাদের যা সমস্যা তা সরাসরি আমাদের জানান। আমরা শুনব আপনাদের কথা।”
অভিষেক বলেন, ‘আজ থেকে আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হল সবার সঙ্গে। কিন্তু অনেক অনুগামী আছে দলের বারোটা বাজানোর চেষ্টা করেছিল তারা। এই সভাতেও আছে। তাদের চিহ্নিত করেছি। মেদিনীপুরকে দিল্লির কাছে বিক্রি করেছে। ইডি, সিবিআই–এর ভয়ে পালিয়েছেন। আপনাদের সবার বক্তব্য আমার কাছে আছে। আমরা দরজা খুললে ওদের দল উঠে যাবে। ১১ বছর অপেক্ষা করেছেন। আমি তিন মাস সময় চাইছি। একটা ঠিকাদার থাকবে না। হয় ঠিকাদারি করুন নয় তৃণমূল, দুটো এক সঙ্গে করতে হবে না। কোনও দাদার প্রতিনিধি নয়, নেত্রীর প্রতিনিধি হতে হবে। শ্রমিক সংগঠন করলে খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি হতে হবে।’
এদিন নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ শানান অভিষেক। আর তা বলতে গিয়েই বিচার ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি। বলেন, একজন-দুজন এমন বিচার ব্যবস্থায় রয়েছেন যারা সম্পূর্ণ যোগসাজসে কাজ করছেন। একেবারে তল্পিবাহকের কাজ করছেন বলেও আক্রমণ অভিষেকের। শুধু তাই নয়, কিছু হলেই সিবিআই দিয়ে দিচ্ছে বলেও মন্তব্য। এমনকি এহেন সত্যি কথা বলার জন্য ব্যবস্থা নিলেও, আমি ২ হাজার বার এই কথা বলব বলেও মন্তব্য অভিষেকের। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।