কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় সতর্কতায় তিন জেলার প্রায় ৭০ হাজার বাসিন্দাকে ইতিমধ্যেই সরানো হয়েছে নিরাপদ স্থানে। সোমবার বিকেল পর্যন্ত নবান্ন কন্ট্রোলরুম সূত্রে এমনটাই খবর। তবে কলকাতায় বড়ো কোনো দুর্যোগের সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকেই সব থেকে বেশি বাসিন্দাদের নিরাপস্থানে সরানো হয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত সংখ্যাটা ৩০ হাজার হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আরও বেশি বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় প্রায় ২৪ হাজার এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রায় ২৫ হাজার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়। পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আজ-কাল দুই ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টি হবে। দুই ২৪ পরগনার উপকূলে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে। পূর্ব মেদিনীপুরেও ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি সুন্দরবনে। পরিস্থিতি নজরে রেখে দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শংকরপুর, সাগর, বকখালির মতো পর্যটন জায়গাগুলিতে আপাতত ওয়াটার ট্যুরিস্ট অ্যাক্টিভিটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, বৃষ্টি হলেও কলকাতায় বড়ো কোনো দুর্যোগের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
এ দিকে, সিত্রাং-সঙ্কট এড়াতে গঙ্গার লকগেট খুলে দিল কলকাতা পুরসভা। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের দৌলতে শহরে ভারী বৃষ্টির আগাম সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সেই বৃষ্টি চলতে পারে বলে অনুমান। টানা বৃষ্টিতে যাতে শহরের রাস্তায় জল জমে মানুষ ভোগান্তির শিকার না হন, তাই আগে থেকেই ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। গঙ্গার লকগেট খোলা থাকলে, জল দ্রুত সরবে বলে মনে করছেন পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে কালীপুজোয় মেঘ-বৃষ্টির ঘনঘটা, ঝড়-বৃষ্টি এই সব জেলায়