কলকাতা: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ নিয়ে আশ্বস্ত করলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘সঠিক সময় মুখ্যমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেবেন। মমতা চান সরকারি কর্মীরা ভাতা পান”।
কলকাতা হাইকোর্টে সর্বশেষ হলফনামা দিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই মুহূর্তে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে গেলে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। কারণ হিসেবে মন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে সাধারণ মানুষের কথাও ভাবতে হয়। তিনি রাজ্যে গরিব মানুষের কথা মাথা রেখে বেশ কিছু প্রকল্প চালু করেছেন। তাঁদের কথাই আগে ভাবতে হচ্ছে। আর্থিক প্রকল্পগুলির মাধ্যমে মানুষকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, সেগুলি বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। মনে রাখতে হবে সরকারি কর্মীরা সংগঠিত কর্মচারী। তাঁদের বেতন যথেষ্ট। রাজ্যের ১০ কোটি মানুষের মধ্যে কত লক্ষ সরকারি কর্মচারী আছেন? গরিব মানুষের জন্য মমতা কাজ করছেন বলেই অর্থে টান পড়ছে”।
তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মেটাতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। যার জেরে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দিতে হবে। কিন্ত সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও ডিএ না দেওয়ায় হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাধিক সংগঠন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে ৪ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। শুক্রবার হলফনামা দাখিল করে রাজ্য সরকার দাবি করেছে, “আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণযোগ্য নয়”। পাশাপাশি শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য সরকার।
স্বাভাবিক ভাবেই এহেন পরিস্থিতিতে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেবের বক্তব্যে আস্থা রাখতে পারছে না রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনগুলি। তারা চাইছে আদালতে না গিয়ে সরকারের উচিত হবে দ্রুত আলোচনায় বসে ডিএ নিয়ে সদর্থক সিদ্ধান্ত নেওয়া। এমনকী, মন্ত্রীর যুক্তিকে মানতে রাজি হননি রাজ্যের বিরোধী দলের নেতারাও। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, “অগ্রাধিকার ঠিক করতে এগারো বছর চলে গেল? আর কত বছর লাগবে”?
আরও পড়ুন: ‘আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণযোগ্য নয়’, ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য