কলকাতা: গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যেই নবান্নে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানে ২২টি দফতরের সচিব এবং জেলা প্রশাসনের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, আগামী ২১ ডিসেম্বর গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠক হবে নবান্ন সভাঘরে।
২০২৩ সালের ১০-১৫ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে হবে গঙ্গাসাগর মেলা। পৌষ সংক্রান্তিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো লাখো মানুষ এই দ্বীপে পুণ্যস্নান করতে আসেন। গঙ্গাসাগর মেলার সঙ্গে কোনও রেল বা সড়ক পথের যোগাযোগ নেই। পৌঁছতে হয় মুড়িগঙ্গা পার করে। এই কঠিন পথ অতিক্রম করে লক্ষাধিক মানুষ আসেন প্রত্যেক বছর। তাঁদের সহযোগিতা করে থাকে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, এই বছর কচুবেড়িয়া, লট নম্বর ৮ এবং নামখানা–সহ মুড়িগঙ্গার দু’পারে ন’টি স্থায়ী জেটির পাশাপাশি ১১টি অস্থায়ী জেটিও লাগানো হবে।
আর সপ্তাহ তিনেক বাদে শুরু হয়ে যাবে গঙ্গাসাগর মেলা। তার আগে পুণ্যার্থীদের সুরক্ষা থেকে শুরু করে চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় ওই বৈঠকে খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন ১৮টি দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব, প্রধান সচিব, অন্যান্য সচিব, কলকাতা পুরসভার কমিশনার এবং দক্ষিণ ২৪-পরগনার জেলাশাসক।
প্রসঙ্গত, এখন যাত্রা মসৃণ করতে মুড়িগঙ্গায় পলি তোলার কাজ চালাচ্ছে সেচ দফতর। আর বাবুঘাট থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত মোট ১১টি বাফার জোন করা হচ্ছে। যাতে বহু পথ অতিক্রম করার সময় এখানে বিশ্রাম নিতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। এখানে থাকছে পানীয় জল ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা। থাকছে মোট ১৩২টি ভেসেল ও লঞ্চ। পুণ্যার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত সরকারি বাসের পাশাপাশি ২২০টি প্রাইভেট বাসও কাজে লাগাবে রাজ্য। মেলায় থাকছে ৩০০ বেডের হাসপাতাল এবং এয়ার ও ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স রাখা হবে।
জানা গিয়েছে, প্রস্তুতির কাজ খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক সাগরে যাচ্ছেন। মেলা আয়োজনের ৮০ শতাংশ দায়িত্ব থাকে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের হাতে। তাই দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়ও সাগরে মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি গিয়ে দেখে এসেছেন। তাঁরাও মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে থাকতে পারেন বলে খবর।