শুক্রবার এই মরশুমের প্রথম তুষারপাত শুরু হয়েছে জোশীমঠে। তবে এ বার পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। প্রকৃতির রোষে ডুবতে বসেছে শহর। এক দিকে ফাটল নিয়ে উদ্বেগ, অন্য দিকে, বেশ কিছু রাস্তা তুষারপাতে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপত্তি। তার উপরে আছে বৃষ্টি। সবমিলিয়ে চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসন ও সেখানকার বাসিন্দাদের।
ফাটল-উদ্বেগের মধ্যেই উত্তরাখণ্ডের এই পর্যটনকেন্দ্রে শুরু হয়েছে বৃষ্টি ও তুষারপাত। এরফলে এখানকার বাসিন্দাদের উদ্বেগ আরও বেড়েছে। ভূমি বিপর্যয়ের জেরে এখনও পর্যন্ত শহরের প্রায় সাড়ে আটশো বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিপদ এড়াতে আগেই প্রায় ২৬০টি পরিবারকে অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত করেছে প্রশাসন। ভেঙে ফেলা হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত হোটেল ও বাড়ি। এরই মধ্যে শুক্রবার সকাল থেকে জোশীমঠ-সহ উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে তুষারপাত ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। এরফলে ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়েছেন অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরের বাসিন্দারা।
তুষারপাত, বৃষ্টি, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, শৈত্যপ্রবাহ এই চার বিপর্যয়ে এখন সমস্যা সঙ্কুল জোশীমঠ। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে চামোলি, পিথাগোরা, যোশীমঠ জেলাতে। দেরাদুন আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা বিক্রম সিং জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাত ও তুষারপাতের সম্ভাবনা আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। এদিকে দুটি হোটেল বিপজ্জনকভাবে ফাটল ধরেছিল। সেগুলির উদ্ধার কাজ তুষারপাতের জন্য ব্যাহত হয়েছে।
জোশীমঠবাসীর আশঙ্কা, তুষারপাত ও বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ফাটল আরও চওড়া হতে পারে। নতুন করে ভূমিধসও নামতে পারে এলাকায়।