অমরনাথ যাত্রা পথে ৫৫টি স্থানে রয়েছে অক্সিজেন বুথ, চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র এবং জরুরি সহায়তা কেন্দ্রের ব্যবস্থা। তবুও প্রতিদিন একজন না একজন ভক্ত হার্ট অ্যাটাকে মারা যাচ্ছেন। জানা গিয়েছে, ১৭ দিনের যাত্রায় এখনও পর্যন্ত ৩০ জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। অধিকাংশ মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক।
এমনিতে যাতায়াতের পথ জটিল বলে জানান চিকিৎসকরা। তাপমাত্রা কমে যাওয়া এবং পাহাড়ি ও দুর্গম এলাকায় থাকার কারণে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। ফলে যাঁদের মধ্যে আগে থেকেই সমস্যা রয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেক বেশি।
বালতাল এবং পহলগাম, উভয় রুট থেকেই অমরনাথ যাত্রা করা হয়। দুটো পথই খুব দুর্গম। স্বাস্থ্য বিভাগ উভয় রুটে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা করেছে। তবে পাঞ্জতার্নি, শেষনাগ এবং ভবন, এই তিনটি স্থান যেখানে ভক্তদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, যাত্রাপথে হার্ট অ্যাটাকের প্রধান কারণ হল মানুষের হাঁটার অভ্যাস নেই। অনেকে হেলিকপ্টারে করে আসেন তারপর হেঁটে যান।
চিকিৎসকেরা আরও জানান, সেখানকার আবহাওয়া ও পরিবেশের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারছে না তারা। এ কারণে পাঞ্জতর্নি দিয়ে হাঁটলে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এতেও হার্ট অ্যাটাক হয়। হেলথ সার্টিফিকেট তৈরির সময় ইসিজি, বুকের এক্স-রে করা হয় ঠিকই, কিন্তু একবার ইসিজি করালে স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানা যাবে না। যাঁরা যাত্রায় অংশ নেবেন, তাঁদের অন্তত ১৫ দিন আগে যাত্রা শুরু করতে হবে। এ ছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করা-সহ চিকিৎসকদের অন্যান্য পরামর্শ মেনে চলাও উচিত।