পঙ্কজ চট্টোপাধ্যায়
দেবাদিদেব মহাদেব এবং কাত্যায়নী দেবী দুর্গা তথা দেবী পার্ব্বতীর সন্তান হল সিদ্ধি বিনায়ক গণপতি। বিভিন্ন নামে এই গণপতি পুজিত হন।যেমন সিদ্ধি বিনায়ক,হরিদ্র বিনায়ক,শৃণ্বন্তু বিনায়ক,মরিয়াম বিনায়ক,গজানন বিশ্ব বিনায়ক, প্রভৃতি।
সিদ্ধিযোগী গণেশ হলেন বুদ্ধি,সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্যের দেবতা। এই গণেশপ্রতিমা পুজিত হন যে কোন পুজোর একদম শুরুতে।কারন শাস্ত্রে বলে আগে সিদ্ধিদাতার আরাধনা করতে হবে,তারপর অন্য দেবতাদের আরাধনা হবে। এই গণেশের মহোৎসব হলো ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্থীর দিন,যা গণেশ চতুর্থী হিসাবে সারা ভারতবর্ষের সব জায়গাতে পালিত হয়। গণেশ চতুর্থীর দিন থেকে এই গণপতি আরাধনা চলে দশ দিন ব্যাপী।এই উৎসব শেষ হয় এই ভাদ্র মাসেরই শুক্লপক্ষের চতুর্দশীর তিথিতে,যাকে অনন্ত চতুর্দশী বলা হয়।
সিদ্ধিদাতা গণেশের আরাধনায় ভক্তজনের মনোস্কামনা পূর্ণ হয়। তাই অতি ভক্তি সহকারে এই পুজো ভক্তগণ করে থাকেন।
এই গণেশপ্রতিমা পুজিত হন সারা ভারতবর্ষে জম্মু,মহারাষ্ট্র, গুজরাটে, পাঞ্জাবে, গোয়া, দমন, দিউ, উত্তরাখন্ড, উত্তরপ্রদেশে, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশে, বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা, আসাম, ত্রিপুরা, কেরালা, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, , অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, মণিপুর, নাগাল্যন্ড, মিজোরাম-সহ সবখানেই এই গণেশ চতুর্থী পালিত হয়। কোথাও এর নাম গণেশ চতুর্থী, কোথাও বিনায়ক চতুর্থী,কোথাও বিনায়ক চোবিথি,কোথাও গণপতি বাপ্পা,কোথাও গজানন কুরুপ্পানাম্,নামে এই উৎসব পালিত হয়।কোঙ্কনী ভাষায় চরথ, নেপালি ভাষায় বলে চথা।
পঞ্জিকা মতে,ভাদ্রমাসের শুক্ল পক্ষের চতুর্থী তিথিতে এই পুজো শুরু হয়। গণেশ অর্থ, অক্ষর,প্রভৃতির পৃষ্ঠপোষক। গণেশ মহাবলী, মেফহা, শিল্প জ্ঞান-বিজ্ঞান-এর পৃষ্ঠপোষক।
গণেশ চতুর্থীর এই পূণ্য উৎসবের দিনে সকলকে জানাই শুভেচ্ছা অভিনন্দন।