নয়াদিল্লি: সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আজ (বুধবার) তৃতীয় দিন। মঙ্গলবার নতুন সংসদে কাজ শুরু হয়। নতুন লোকসভা ও রাজ্যসভায় সাংসদদের ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মঙ্গলবার লোকসভায় পেশ হয় মহিলা সংরক্ষণ বিল। এ বিষয়ে আজ সংসদে আলোচনা হবে। আজ সংসদ ভবনে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে বিতর্ক হতে চলেছে। লোকসভায় কংগ্রেস সংসদীয় দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী আজ মহিলা সংরক্ষণ বিলের উপর কংগ্রেসের পক্ষে প্রধান বক্তা। একইসঙ্গে সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, স্মৃতি ইরানি, ভারতী পওয়ার এবং অপরাজিতা সারঙ্গি শাসক দলের পক্ষে বক্তৃতা করবেন।
মঙ্গলবার নতুন সংসদ ভবনে প্রথম বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “মহিলাদের ইতিহাস গড়ার এটাই সময়। মহিলাদের সংরক্ষণ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। মহিলা সংরক্ষণ বিল অনুমোদন করেছে মন্ত্রীসভা। আজ আমাদের সরকার সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করতে যাচ্ছে। মহিলারা লোকসভা এবং বিধানসভায় সংরক্ষণ পাবেন.. মহিলা সংরক্ষণ বিল বহুবার আনা হয়েছিল, কিন্তু ঈশ্বর আমাকে অনেক পবিত্র কাজের জন্য বেছে নিয়েছেন”।
ইতিমধ্যে কংগ্রেস দাবি করেছে, সংসদের বিশেষ অধিবেশনে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করতে হবে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, “রাজীব গান্ধী প্রথম ১৯৮৯ সালের মে মাসে পঞ্চায়েত এবং পুরসভাগুলিতে এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষণের জন্য সংবিধান সংশোধনী বিল উত্থাপন করেছিলেন। এটি লোকসভায় পাশ হলেও ১৯৮৯ সালের সেপ্টেম্বরে রাজ্যসভায় উতরাতে ব্যর্থ হয়”। বলে রাখা ভালো, মনমোহন সিং-এর নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে রাজ্যসভায় পাশ হওয়া বিলটি এখনও সক্রিয় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিংহ রাও ১৯৯৩ সালের এপ্রিলে পঞ্চায়েত এবং পুরসভাগুলিতে মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষণের জন্য সংবিধান সংশোধনী বিলগুলি পুনঃপ্রবর্তন করেছিলেন। উভয় বিলই পাস হয়ে আইনে পরিণত হয়েছিল।