ভারত: ২২৯-৯ (রোহিত শর্মা ৮৭, সূর্যকুমার যাদব ৪৯, ডেভিড উইলি ৩-৪৫, ক্রিস ওক্স ২-৩৩)
ইংল্যান্ড: ১২৯ (৩৪.৫ ওভার) (লিয়াম লিভিংস্টোন ২৭, মোহম্মদ শামি ৪-২২, জসপ্রীত বুমরাহ ৩-৩২)
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২২৯ রান তুলেছিল ভারত। ফলে এই রান নিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জেতা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় একটা ছিল। তবে যশপ্রীত বুমরা এবং মহম্মদ শামির দাপটে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০০ রানে জিতল রোহিত শর্মার দল। এখনও পর্যন্ত এ বারের বিশ্বকাপে ছ’টি ম্যাচ খেলে প্রত্যেকটাতেই জয় হাসিল করে নিল টিম ইন্ডিয়া।
মাত্র ৪০ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর প্রমাদ গুণতে শুরু করেন অনেকেই। এ বারের বিশ্বকাপে এত খারাপ অবস্থার মধ্যে আগে কখনও পড়েনি ভারত। তবে রোহিত শর্মা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন। তাঁর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিপদ থেকে উদ্ধার করলেন কেএল রাহুল। ৯১ রানের জুটি গড়লেন তাঁরা।
জবাবে ইংল্যান্ডের শুরুটা দেখে বেশ জমাট মনে হচ্ছিল। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের একের পর এক আক্রমণে ব্রিটিশ ক্রিকেটাররা কার্যত দুরমুশ হয়ে গেলেন। প্রথমে জসপ্রীত বুমরাহ ব্যাক টু ব্যাক দুটো উইকেট শিকার করে ডেভিড মালান এবং জো রুটকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখিয়ে দেন। এরপর মহম্মদ সামি আসতে না আসতেই আগুন গতিতে বল করতে শুরু করেন। তিনিও পরপর বেন স্টোকস এবং জনি বেয়ারস্টোর উইকেট শিকার করেন। এরপর তিনি মঈন আলির উইকেটও তুলে নেন। তিনি একাই চারটে উইকেট শিকার করলেন। তিন উইকেট নেন বুমরাহ।
এই নিয়ে তারা টানা ৬ ম্যাচে জয়লাভ করে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে এবং পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের হাতে এখনও তিনটে ম্যাচ বাকি থাকছে। শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে তাদের খেলতে হবে। তবে শেষ চারে ওঠার থেকে তাদের আর কেউ যে আটকাতে পারবে না, তা বলা যেতেই পারে।