প্রথম পাতা খবর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে ঢুকতে হবে আরও আগে, কড়া নির্দেশিকা পর্ষদের

শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে ঢুকতে হবে আরও আগে, কড়া নির্দেশিকা পর্ষদের

561 views
A+A-
Reset

কলকাতা: শিক্ষকদের স্কুল ঢোকার সময় এ বার আরও খানিকটা এগিয়ে আসছে। নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু হয়ে যাচ্ছে এই নিয়ম।

শুক্রবার নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এতদিন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে ঢুকতে হতো সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের মধ্যে। নতুন শিক্ষাবর্ষে সেই সময় আরও ১০ মিনিট এগিয়ে আনা হয়েছে। অর্থাৎ ১০টা ৪০ মিনিটের মধ্যে স্কুলে ঢুকতে হবে। না হলে হাজিরা খাতায় পড়বে লাল কালির দাগ।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, সমস্ত ধরনের স্কুলের ক্ষেত্রেই এই নয়া নিয়মবিধি কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে। জুনিয়র হাইস্কুল, সেকেন্ডারি স্কুল (সরকার ও সরকার পোষিত)-সহ বোর্ডের আওতাধীন সমস্ত স্কুলের ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে।

নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানের প্রধান থেকে শুরু করে স্কুলের সমস্ত স্টাফকে (টিচিং, ননটিচিং) প্রার্থনায় থাকতে হবে। ১০টা ৪০ থেকে ১০টা ৫০ পর্যন্ত প্রার্থনার জন্য সময় বরাদ্দ থাকছে। ১০টা ৪০-এর পর যদি কেউ আসেন, তাঁর জন্য ‘লেট’ মার্ক হবে। শুধু তাই নয়, ১১টা ১৫ মিনিটের পর যদি কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা স্কুলে আসেন, তা হলে তাঁকে সেদিনের জন্য ‘অনুপস্থিত’ হিসাবে গণ্য করা হবে।

শুধু তাই নয় এখন থেকে সারা সপ্তাহে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য ক্লাসের যে রুটিন তৈরি করা হবে তা পাঠাতে হবে পর্ষদকেও। সপ্তাহে কে, কতক্ষণ, ক’টা ক্লাস নিচ্ছেন ডায়েরিতে সেটাও লিখে রাখতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। বিষয়টি প্রধান শিক্ষকও নজরে রাখবেন।

স্কুলে মোবাইলের ব্যবহার নিয়েও শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নির্দিষ্ট নিয়মে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ক্লাসরুমে যাতে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনোয় কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, তাই ক্লাসে বা ল্যাবরেটরিতে শিক্ষকরা মোবাইল ফোনের ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি স্কুল চত্বরে মোবাইল ফোনের ব্যবহার করতেই হয়, তবে তা করতে হবে প্রধানশিক্ষকের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে, এবং তা করতে হবে স্কুলের একটি নির্দিষ্ট জায়গায়, যেখানে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনোর বিষয় থাকবে না।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.