ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের আগে বড়সড় ধাক্কা খেলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সাইফার মামলায় ইমরানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের মিডিয়াকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই বলেছে যে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবং দলের নেতা শাহ মাহমুদ কুরেশিকে সাইফার মামলায় ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি), পাকিস্তানের এক বিশেষ অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট আদালত এই রায় দিল।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর মতে, রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে এই মামলার শুনানি হয়। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট অবশ্য এই ইমরান ও শাহ মাহমুদের বিচার বাতিল এবং অকার্যকর ঘোষণা করেছিল। তারপরই অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ২০২৩-এর আওতায় এই বিশেষ আদালত গঠন করা হয়েছিল। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে সাইফার মামলার শুনানির সময় বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন এই রায় দেন।
বলে রাখা ভালো, সাইফার মামলাটি পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কিত একটি বিষয়। মামলাটি প্রথম ২০২২ সালের ২৭ মার্চ রিপোর্ট করা হয়েছিল। পাকিস্তান সরকারের যে গোপন তথ্য ইমরান ফাঁস করেছেন বলে অভিযোগ, একটি সাইফারকে ঘিরেই সেই অভিযোগ ওঠে। পাকিস্তানে এই মামলা সাইফার মামলা নামেই পরিচিত। সাইফার মানে হল সাঙ্কেতিক ভাষায় লেখা কিছু বার্তা। অভিযোগ, আমেরিকা থেকে পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতের পাঠানো এমনই একটি বার্তা ইমরান এবং কুরেশির হাতে উঠেছিল, যাতে লেখা ছিল, ‘ইমরানকে পাকিস্তানের মসনদ থেকে সরাতে সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে আমেরিকা’। কূটনৈতিক সেই বার্তা গোপন রাখেননি ইমরান।