কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় রায়। রাতেই তাকে লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবর। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অন্যদিকে, মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তি আরজি কর হাসপাতালের সরকারি কোনও নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করত না। আরজি করের নিরাপত্তারক্ষীরাই জানাচ্ছেন, ধৃত যুবকের নিয়মিত যাতায়াত ছিল হাসপাতালে। তিনি পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার।
সেমিনার হল থেকে ব্লু টুথের ছেঁড়া তার পাওয়া যায়। ওই ছেঁড়া তারের সূত্র ধরে সঞ্জয়কে আটক করা হয়েছে বলেই খবর। ঘটনার রাতে সঞ্জয়ের সঙ্গে আর কেউ সেমিনার হলে ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, চার তলার যে সেমিনার হল থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়, সেই হলঘরে কোনও সিসি ক্যামেরা ছিল না। ওই ঘরটিকে মাঝে মাঝে চিকিৎসকেরা বিশ্রামের জন্য ব্যবহার করতেন। অনেক সময় মহিলা চিকিৎসকেরা পোশাকও পরিবর্তন করতেন। তাই সেখানে ক্যামেরা ছিল না। তবে বাইরের বাকি অংশের ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চেস্ট বিভাগের ওই চিকিৎসক স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীও ছিলেন। হাসপাতালে নাইট ডিউটি ছিল তাঁর। ওই মহিলা চিকিৎসকের পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। আর জি কর হাসপাতালের সহ চিকিৎসকরা অভিযোগ তোলেন, ওই মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুন করা হয়।