কলকাতা: স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানের আবহে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের শেয়ার করা অডিও ক্লিপকে ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র শোরগোল। কুণালের দাবি, জুনিয়র ডাক্তারদের সাংবাদিক বৈঠকের সময় তাঁদের উপর হামলা করে সরকারকে বিপাকে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। যদিও ওই অডিও ক্লিপের সত্যতা এখনও যাচাই করা সম্ভব হয়নি, তবুও এটি সামনে আসার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
কুণালের প্রকাশিত অডিওতে দুই ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন শোনা যায়, যেখানে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কথোপকথনে এক ব্যক্তিকে ‘স’ এবং অন্যজনকে ‘ক’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে। এই ঘটনা সামনে আসার পর পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স থানায়। এর আগে সঞ্জীব দাস ওরফে বুবলাই নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার ওই অডিওর সূত্র ধরে সিপিএম নেতা কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, লালবাজার থেকে ফেরার পথে রাস্তা থেকেই পুলিশ কলতানকে আটক করে। কুণাল ঘোষের দাবি অনুযায়ী, সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানে হামলা চালিয়ে সরকারকে বিব্রত করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এই ষড়যন্ত্রের প্রমাণ হিসেবে কুণাল ঘোষ সেই অডিও ক্লিপ এবং তার লিখিত বয়ান সাংবাদিক বৈঠকে প্রকাশ্যে আনেন। অডিওতে থাকা ‘স’ ও ‘ক’ সম্বোধিত ব্যক্তিদের মধ্যে ‘ক’ হচ্ছেন সিপিএম নেতা কলতান দাশগুপ্ত, এমনটাই দাবি তৃণমূলের।
অডিও প্রকাশ্যে আসার পর থেকে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বামপন্থী সংগঠনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে এই গ্রেফতারি রাজনৈতিক উত্তেজনাকে আরও উস্কে দিয়েছে।