মন্দারমণিতে নির্মিত ১৪০টি হোটেল ভাঙার নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজির দেওয়া নোটিসে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন। আদালতের এই রায়ের ফলে স্বস্তি পেয়েছেন মন্দারমণি হোটেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।
এর আগে বুধবারের মধ্যে হোটেল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে জেলাশাসক ওই নোটিস জারি করেছিলেন। অভিযোগ, সিআরজেড (কোস্টাল রেগুলেশন জোন) নির্দেশ অমান্য করে মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতে এই হোটেলগুলি নির্মাণ করা হয়েছিল। নোটিসে হোটেল কর্তৃপক্ষকে নিজেদের নির্মাণ ভেঙে জায়গা পরিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
নোটিস পাওয়ার পর মন্দারমণির হোটেল মালিক সংগঠন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। সংগঠনের সহ সভাপতি দেবরাজ দাস জানিয়েছেন, ২০০৭, ২০১১, এবং ২০২২ সালেও একইভাবে হোটেল ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পরিবেশ আদালত ও জেলা প্রশাসনের তরফে। সেই সময় তাঁরা আইনি লড়াই চালিয়েছিলেন এবং এবারেও সেই লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি জানান, তিনি বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, সরকার কোনও হোটেল ভাঙার পক্ষে নয়। তবে প্রশাসনিক স্তরে পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মান্য করার বিষয়ে তৎপরতা ছিল।
কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশে আপাতত হোটেল মালিকরা স্বস্তি পেলেও, ৩০ ডিসেম্বরের পর কী হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে হোটেল মালিক সংগঠন জানিয়েছে, তাঁরা নিজেদের ব্যবসা রক্ষা করতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।