অক্ষয় তৃতীয়ায় নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করতে সোমবার সৈকতনগরীতে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, মঙ্গলবার চলবে মহাযজ্ঞ এবং বুধবার দুপুর আড়াইটে-তিনটের মধ্যে হবে দ্বারোদঘাটন ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
রবিবার সন্ধে থেকে পুরীর নিয়মে শুরু হয়েছে প্রাণপ্রতিষ্ঠার আচার। হোমযজ্ঞের জন্য তৈরি অস্থায়ী আটচালায় চলছে দু’বেলা পুজো। পুরীর মন্দিরের ৫৭ জন সেবক এবং ইসকনের ১৭ জন সাধু আচার পরিচালনায় রয়েছেন। বিশাল মহাযজ্ঞে পোড়ানো হবে প্রায় ১০০ কুইন্টাল আম-বেল কাঠ ও ২ কুইন্টাল ঘি।
রাজস্থানের গোলাপি বেলেপাথরের তৈরি দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের নির্মাণে যুক্ত ছিলেন প্রায় ৮০০ কারিগর। মন্দিরে রয়েছে চারটি প্রবেশদ্বার— সিংহদ্বার, ব্যাঘ্রদ্বার, হস্তিদ্বার ও অশ্বদ্বার। প্রবেশমুখে কালো পাথরের ৩৪ ফুট লম্বা ১৮ মুখী অরুণ স্তম্ভ এবং অরুণা মূর্তি।
পুরীর ধাঁচে তৈরি মন্দিরে রয়েছে ভোগমণ্ডপ, নাটমন্দির, জগমোহন ও গর্ভগৃহ। মূল মন্দিরে সিংহাসনে থাকবে পাথরের তৈরি জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি। পুজো হবে নিমকাঠের বিগ্রহে। নিয়ম মেনে প্রতিদিন পাল্টানো হবে মন্দিরের চূড়ার ধ্বজা।