অবশেষে সংস্কারের পথে দ্বিতীয় হুগলি সেতু, অর্থাৎ বিদ্যাসাগর সেতু। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিক থাকলে জুন মাস থেকেই শুরু হয়ে যাবে বহু প্রতীক্ষিত এই সংস্কার কাজ।
১৯৯২ সালের পুজোর সময় চালু হওয়া এই সেতু গত তিন দশকে কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে যাতায়াতের প্রধান ভরসা হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ এবং হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে এই পথে। সেই কারণে যান চলাচল একেবারে বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। তাই প্রশাসনের পরিকল্পনা—একটি লেন বন্ধ রেখে ধাপে ধাপে সংস্কার চালানো হবে।
তবে কিছু নির্দিষ্ট দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পুরোপুরি একটি লেন বন্ধ রাখতে হতে পারে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হয়নি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রশাসন চায়, কাজের বড় অংশ যেন রাতেই সম্পন্ন হয়, যাতে দিনে যানজটে সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত ভোগান্তিতে না পড়তে হয়।
প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সংস্কার প্রকল্পে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি অভিজ্ঞ জার্মান সংস্থাকে, যারা কলকাতার একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে।
প্রথম পর্যায়ে সেতুর ২০টি দুর্বল ‘স্টে কেব্ল’ বদলানো হবে। এই কেবলগুলিই সেতুর ভারসাম্য রক্ষা করে। এরপর ‘বিয়ারিং’ বদলের কাজ হবে, যা সেতুর স্থিতিশীলতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
ইঞ্জিনিয়ার ও পরিবহন বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, প্রায় ১৫ মাস ধরে চলবে এই প্রকল্প। চলমান যান চলাচলের মাঝে সুচারু ভাবে এই কাজ চালানো প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে কাজ সফল হলে সেতুর ভবিষ্যৎ স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।