সংরক্ষিত শ্রেণির (এসসি, এসটি, ওবিসি) যোগ্য প্রার্থীদের ইচ্ছাকৃতভাবে ‘নট ফাউন্ড সুইটেবল’ (উপযুক্ত নয়) বলে বাদ দেওয়া হচ্ছে — এমন অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সম্প্রতি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডিইউএসইউ) কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রাহুল গান্ধী হিন্দিতে বলেন, ‘নট ফাউন্ড সুইটেবল’ এখন নতুন মনুবাদ। যোগ্য প্রার্থীদের ইচ্ছাকৃতভাবে ‘অনুপযুক্ত’ ঘোষণা করা হচ্ছে, যাতে তাদের শিক্ষাগত ও নেতৃত্বের সুযোগ থেকে দূরে রাখা যায়। তিনি বলেন, সংরক্ষণ পাওয়া মানে হল অধিকার, সম্মান ও অংশগ্রহণের জন্য লড়াই — কিন্তু কেন্দ্রের মোদী সরকার ও আরএসএস সেই সুযোগ কেড়ে নিতে চাইছে।
তিনি অভিযোগ করেন, “অধ্যাপক পদে সংরক্ষিত ৬০ শতাংশেরও বেশি এবং অ্যাসোসিয়েট অধ্যাপক পদে সংরক্ষিত ৩০ শতাংশের বেশি পদ ‘নট ফাউন্ড সুইটেবল’ নামক একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফাঁকা রাখা হয়েছে। এটা কোনো ব্যতিক্রম নয়। আইআইটি, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় — সর্বত্র এই চক্রান্ত চলছে। এটি সংবিধানের ওপরে আঘাত, সামাজিক ন্যায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা”।
ভিডিওতে রাহুল গান্ধী ছাত্রদের বলেন, “হিন্দুত্ব প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো এসসি, এসটি ও ওবিসি সম্প্রদায়ের ইতিহাস মুছে ফেলা। কেন আমাদের ইতিহাস বইয়ে ৯০ শতাংশ মানুষের ইতিহাস নেই? কেন শুধু ১০ শতাংশ মানুষের ইতিহাস আছে? কেন লেখা নেই যে তিন হাজার বছর ধরে দলিতদের মানুষ হিসেবে গণ্য করা হয়নি, সম্মান দেওয়া হয়নি, সমাজে কোনও স্থান দেওয়া হয়নি”?
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা হল সমতার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। কিন্তু মোদী সরকার সেই অস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে দিতে চাইছে।
২২ মে, কোনও আগাম নোটিশ ছাড়াই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্থ ক্যাম্পাসে ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল গান্ধী। এই ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রোটোকলের লঙ্ঘন এবং ছাত্র সংসদের কাজের ব্যাঘাত বলে উল্লেখ করেছে।
শেষে রাহুল গান্ধী বলেন, “আমি ডিইউএসইউ-র ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন আমরা সবাই মিলে বিজেপি ও আরএসএস-এর সংরক্ষণবিরোধী প্রতিটি পদক্ষেপের জবাব দেব সংবিধানের শক্তির মাধ্যমে”।