জার্মানির বার্লিন প্রাসাদের ছাদে শুক্রবার (২১ মে, ২০২৫) গাঁটছড়া বাঁধলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং পুরীর প্রাক্তন বিজেডি সাংসদ পিনাকী মিশ্র। ৫১ বছরের মহুয়া ও ৬৫ বছরের পিনাকী, দু’জনেরই এটি দ্বিতীয় বিবাহ। ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, প্রচার ও ভিড় এড়াতে বিদেশকে বিয়ের ভেন্যু হিসেবে বেছে নিয়েছেন তাঁরা।
মহুয়া এক সময় মার্কিন আর্থিক সংস্থা জেপি মর্গ্যানে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কর্মরত ছিলেন। সেই সময়েই তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ডেনমার্কের ফিনান্সার লার্স ব্রর্সনের, পরে তাঁদের বিয়ে হয়, যা পরবর্তী সময়ে ভেঙে যায়। অন্যদিকে, পিনাকী মিশ্রের প্রথম স্ত্রী ছিলেন ওড়িশার সঙ্গীতা মিশ্র। তাঁদের এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে। সেই সম্পর্কেরও ইতি ঘটে বহু বছর আগে।
মহুয়ার সঙ্গে আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাইয়ের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ক প্রথমে ঘনিষ্ঠ হলেও পরে তিক্ততায় ভেঙে যায়। এর পরেই পিনাকীর সঙ্গে মহুয়ার বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে গভীর হয়। গত বছর তাঁরা ইউরোপ সফরেও গিয়েছিলেন একসঙ্গে।
দু’জনেরই রাজনৈতিক সূচনা কংগ্রেস থেকে। পিনাকী ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের টিকিটে পুরী থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। পরে বিজু জনতা দলে যোগ দিয়ে ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে সাংসদ হন। তবে ২০২৪ সালে তাঁকে আর প্রার্থী করেনি দল। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, মহুয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়েই বিতর্ক এড়াতে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়। যদিও অন্য মতে, পিনাকী নিজেই প্রার্থী হতে চাননি।
মহুয়া ২০০৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন এবং রাহুল গান্ধীর ‘আম আদমি কা সিপাহি’ প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন। ২০১০ সালে তৃণমূলে যোগ দিয়ে ২০১৬ সালে করিমপুর থেকে বিধায়ক হন। ২০১৯ ও ২০২৪ সালে কৃষ্ণনগর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন।