মধুচন্দ্রিমা আর রইল না রোম্যান্সের গল্প, বরং পরিণত হল রুদ্ধশ্বাস অপরাধকাহিনিতে। ১৯ মে চার হাত এক হয়েছিল রাজা রঘুবংশী ও সোনমের। পরদিনই তাঁরা পাড়ি দেন মেঘালয়ের উদ্দেশে। কিন্তু ২৩ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন দু’জনেই। ২ জুন মিলেছিল রাজার মৃতদেহ। আর অবশেষে, বহু জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সোনম নিজেই আত্মসমর্পণ করেন, আর সঙ্গে সঙ্গেই ধরা পড়ে যায় মর্মান্তিক সত্য— স্বামীকে খুনের জন্য তিন জন ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করেছিলেন তিনি নিজেই!
মেঘালয় পুলিশের দাবি, সোনম ছাড়াও এই ঘটনায় ধৃত আরও তিন অভিযুক্তের মধ্যে দু’জন ইনদওর থেকে গ্রেফতার হয়েছে, সোনম ধরা পড়েন উত্তরপ্রদেশে। এখনও অবধি খুনের মোটিভ স্পষ্ট নয়, তবে ব্যক্তিগত কারণেই খুনের ছক কষে ছিলেন বলে প্রাথমিক ধারণা।
২৩ তারিখ রাজা-সোনমকে পাহাড়ে উঠতে দেখেছিলেন ট্যুর গাইড অ্যালবার্ট। তাঁর বয়ানে উঠে এসেছিল আরও তিন যুবকের উপস্থিতির কথা। পুলিশ এখন নিশ্চিত, সেই তিনজনই ভাড়াটে খুনি। এঁদের কথাতেই স্পষ্ট হয়েছে, সোনমই ছিলেন মূলচক্রী।
রাজার দেহ পাওয়া যায় ওয়েইসডং জলপ্রপাতের কাছে। দেহের পাশে রক্তমাখা দা ও কালো বর্ষাতি থাকলেও, রাজার সোনার গয়না ছিল না। তদন্তকারীরা মনে করছেন, খুনের পর গয়নাগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার পর প্রথমে অনেকেই ধরেছিলেন অপহরণ বা পাচারের তত্ত্ব। সোনমের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবিও তোলে। কিন্তু সোনমের আত্মসমর্পণ এবং খুনে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি প্রকাশ্যে আসতেই সেই সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটে।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, এখনও এই চাঞ্চল্যকর মামলার একাধিক দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনের নেপথ্যে প্রকৃত কারণ জানতে সোনমকে জেরা চলছে।