খ্যাতনামা চলচ্চিত্র পরিচালক পার্থ ঘোষ প্রয়াত। সোমবার, ৯ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
১৯৯০-এর দশকে বলিউডে একাধিক স্মরণীয় ছবি উপহার দিয়েছেন পার্থ ঘোষ। তাঁর পরিচালিত ‘১০০ ডেজ’ ছবিটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়, যেখানে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। এছাড়াও ‘অগ্নি সাক্ষী’ (১৯৯৬), ‘গুলাম-ই-মুস্তফা’ (১৯৯৭), ‘তিসরা কৌন?’ (১৯৯৪) এবং ‘যুগপুরুষ’ (১৯৯৮)-এর মতো ছবিগুলি দর্শক এবং সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল।
পরিচালকের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তিনি লেখেন, ‘‘অতুলনীয় প্রতিভা, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন পরিচালক ও এক অসাধারণ মানুষকে হারালাম। পার্থ দা, আপনি সব সময় স্মরণীয় থাকবেন আপনার সৃষ্ট জাদুর জন্য। শান্তিতে থাকুন।’’
পার্থ ঘোষের চলচ্চিত্র কেরিয়ার তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত ছিল। হিন্দি ও আঞ্চলিক— দুই ভাষার সিনেমাতেই তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য। সামাজিক বার্তা ও মূলধারার বিনোদনকে দক্ষতার সঙ্গে মিশিয়ে তিনি দর্শকদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিলেন।
‘অগ্নি সাক্ষী’ তাঁর অন্যতম সফল ছবি, যেখানে অভিনয় করেছিলেন মণীষা কৈরালা, জ্যাকি শ্রফ ও নানাপটেকর। এই ছবি ঘরোয়া হিংসার মতো স্পর্শকাতর বিষয়কে পর্দায় তুলে ধরে সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছিল এবং অস্কারের জন্য ভারতের অফিসিয়াল এন্ট্রি হয়েছিল।
‘গুলাম-ই-মুস্তফা’ ছিল অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ ছবি, যা আন্ডারওয়ার্ল্ডের নীতির দ্বন্দ্ব নিয়ে তৈরি। এই ছবিতেও মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন নানা পটেকর ও রবিনা ট্যান্ডন।
ছবির পাশাপাশি টেলিভিশনেও কাজ করেছেন পার্থ ঘোষ। হিন্দি ছবিতে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে তিনিই প্রথম সুযোগ দিয়েছিলেন ১৯৯৪ সালে।
একটি বিরতির পর ২০১৮ সালে ‘মওসাম ইকরার কে দো পাল পেয়ার কে’ ছবির মাধ্যমে তিনি ফের পরিচালনায় ফিরে আসেন। এ ছবিতে অভিনয় করেন মুকেশ জে ভরতি, মাদলসা শর্মা ও অবিনাশ ওধওয়ান।
সম্প্রতি ‘১০০ ডেজ’ ও ‘অগ্নি সাক্ষী’র সিক্যুয়েল তৈরি করছিলেন তিনি।