নিজস্ব ছবি
প্রথমবারের জন্য দিঘায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে জগন্নাথ ধামের রথযাত্রা, আর সেই উপলক্ষে সৈকত শহরে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। চণ্ডীপুর, বাজকুল, হেঁড়িয়া, কাঁথি-সহ ১০টি স্থানে তৈরি হয়েছে পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথ। প্রায় তিন হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকার কথা রথযাত্রার তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে, যার মধ্যে রয়েছেন অন্যান্য জেলা থেকে আগত বাহিনীর সদস্যরাও।
সুরক্ষা ব্যবস্থায় নজরদারি চালাতে দায়িত্বে রয়েছেন রাজ্য পুলিশের একাধিক শীর্ষ আধিকারিক ও কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের সার্জেন্টরা। আলোকসজ্জা ও মাইকে মুখরিত শহরের এক কিলোমিটার দীর্ঘ রথপথ জুড়ে বসানো হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেড এবং নির্দিষ্ট দূরত্বে ড্রপ গেট। সকাল থেকে ভোররাত অবধি নিরাপত্তার কড়াকড়ি বজায় থাকবে।
রথ উপলক্ষে পর্যটকদের ঢল নেমেছে দিঘায়। হোটেলগুলির অধিকাংশই বুকড। যাত্রীদের সুবিধার্থে আজ, ২৫ জুন থেকে চালু হয়েছে পাঁশকুড়া-দিঘা বিশেষ ট্রেন, যা সকাল ৭টায় চলবে। একই সঙ্গে বাস পরিষেবাতেও নজর দিয়েছে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট। সব রুটের বাস বুকড, চালু হয়েছে অতিরিক্ত বাসও।
প্রশাসনের তরফে রথযাত্রা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে জেলার চার অতিরিক্ত জেলাশাসকের মধ্যে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) অনির্বাণ কোলের হাতে রথপথ ও পার্কিংয়ের দায়িত্ব। জগন্নাথ মন্দিরের পূজো ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) বৈভব চৌধুরী। মুখ্যমন্ত্রী সহ ভিআইপিদের আগমন ও নিরাপত্তা দেখছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা আবাসন সমস্যা মোকাবিলায় রয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সৌভিক চট্টোপাধ্যায়।