স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে রাজভবনের চা-চক্রে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে একা নন, সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, মুখ্যসচিব বিপি গোপালিক, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, ডিজি রাজীব কুমার, প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি।
তবে রাজভবনে গিয়েও খাবার বা জল স্পর্শ করেননি মমতা। নিজের বোতলের জল সঙ্গে নিয়ে যান এবং পরে সাংবাদিকদের জানান, “আমি ওখানে এক ফোঁটা জলও খাইনি।” রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের আমন্ত্রণে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর কয়েক ঘণ্টা আগে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে হামলা ও ধর্ষণ-খুনকাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যপাল। রাজভবনে ঢোকার সময় তারই পাল্টা জবাব দেন মমতা। নাম না করেই শ্লীলতাহানির অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “চ্যারিটি বিগিন্স অ্যাট হোম। আগে নিজের দিকে তাকান।”
রাজভবনের থ্রোন রুমে অনুষ্ঠানে প্রায় ৪৫ মিনিট কাটান মুখ্যমন্ত্রী। এ সময় রাজ্যপালের সঙ্গে কেবল নমস্কার ও শুভেচ্ছা বিনিময় হয়, অন্য কোনও আলাপ নয়। বাইরে বেরিয়ে আবার আরজি কর প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মমতা। জানান, ঘটনার নিন্দা করেছেন, ফাঁসির দাবিতে মিছিলও করবেন এবং প্রয়োজনে সিবিআই তদন্তে পূর্ণ সহায়তা দেবে রাজ্য সরকার।