ভোটার তালিকায় অবৈধ নাম নথিভুক্তির অভিযোগে অবশেষে সাসপেন্ড করা হল রাজ্যের চার সরকারি আধিকারিককে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে এই পদক্ষেপ করল নবান্ন। তবে কমিশনের নির্দেশ সত্ত্বেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়নি।
রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ কমিশনকে পাঠানো রিপোর্টে জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আপাতত বিভাগীয় তদন্ত (ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিং বা ডিপি) শুরু হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চার আধিকারিকের মধ্যে দু’জন ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও) এবং দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (এইআরও)।
৮ আগস্ট নির্বাচন কমিশন নবান্নকে চিঠি দিয়ে নির্দেশ দিয়েছিল, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত আধিকারিকদের সাসপেন্ড করে এফআইআর দায়ের করতে হবে। সেই সময় মুখ্যসচিব প্রথমে কমিশনকে জানালেও, কেবল পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের সহকারী নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক সুদীপ্ত দাস এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পূর্বের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদারকে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়। পরে কমিশনের ডাকে ১৩ অগস্ট দিল্লি গিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। সেই বৈঠকের পর চার আধিকারিককেই সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ নিয়ে প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, “কমিশন অকারণে অতিসক্রিয়। এখনও ভোট অনেক দেরি। আমি কাউকে শাস্তি হতে দেব না।”