ইস্তফার পর প্রায় দেড় মাস জনসমক্ষে অনুপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। এবার ফের আলোচনায় তিনি। তবে রাজনৈতিক নয়, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের কারণে। সূত্রের খবর, ধনকড় কংগ্রেস বিধায়ক হিসাবেই পেনশনের আবেদন করেছেন।
প্রথম জীবনে কংগ্রেস রাজনীতি
জগদীপ ধনকড় রাজনৈতিক জীবনের শুরু করেছিলেন কংগ্রেসের হাত ধরে। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি রাজস্থানের আজমেঢ় জেলার কৃষ্ণগড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক ছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দেন, সাংসদ হন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব পান, বাংলার রাজ্যপাল হন এবং সবশেষে দেশের উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্ব সামলান।
বিধায়ক হিসাবে পেনশন, উপ-রাষ্ট্রপতি হিসাবে নয়
রাজস্থান বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর, ধনকড়ের আবেদন ইতিমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে এবং তাঁর পেনশন চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তিনি মাসে ৩৫ হাজার টাকা পেনশন পাবেন। বয়স ৭০ পেরোনোর কারণে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ যোগ হবে। ফলে তাঁর মাসিক পেনশন দাঁড়াবে ৪২ হাজার টাকা।
কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে তিনি এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি সুবিধার জন্য আবেদন করেননি। অথচ নিয়ম অনুযায়ী, দু’বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করে ইস্তফা দিলে অবসরপ্রাপ্ত উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে মাসিক ২ লক্ষ টাকার বেশি পেনশন, টাইপ VIII বাংলো, নিখরচায় বিমান ও রেলযাত্রা, বিনামূল্যে চিকিৎসা, ব্যক্তিগত চিকিৎসক, ব্যক্তিগত সচিব এবং অন্যান্য একাধিক সুবিধা পাওয়ার কথা।
রাজনৈতিক বার্তা?
তবে এতসব সুযোগসুবিধা ছেড়ে কংগ্রেস বিধায়ক হিসাবে পেনশনের আবেদন করাটা রাজনৈতিক দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ধনকড় হয়তো কোনও বার্তা দিতে চাইছেন, অথবা ব্যক্তিগত কৌশলেই এখনও পর্যন্ত উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে সুবিধার জন্য আবেদন করেননি।