আলিপুর চিড়িয়াখানায় ৩২১টি প্রাণী হঠাৎ ‘নিখোঁজ’ হয়ে যাওয়ার অভিযোগে শুরু হওয়া বিতর্কে বড় মোড়। বন দফতরের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, একটি প্রাণীও চিড়িয়াখানা থেকে নিখোঁজ হয়নি। অভিযোগের ভিত্তি ছিল কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট, যেখানে ভুল তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল।
বন দফতর সূত্রে খবর, আলিপুর চিড়িয়াখানার তরফে যে তথ্য কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছিল, তা ছিল সঠিক। কিন্তু কেন্দ্রীয় রিপোর্টে ভুল প্রকাশিত হয় এবং রাজ্যের অনুরোধ সত্ত্বেও সেই ভুল সংশোধন করা হয়নি। এই প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখেছেন। এতে বন দফতরের তরফে স্বস্তি মিলেছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। তাতে অভিযোগ করা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে আলিপুর চিড়িয়াখানায় প্রাণীর সংখ্যা ছিল ৬৭২, কিন্তু ২০২৪-২৫ সালে তা নেমে আসে ৩৫১-এ। অর্থাৎ, ‘উবে’ গিয়েছে ৩২১টি প্রাণী। মামলাকারী সংস্থার দাবি ছিল, গত ৩০ বছর ধরেই এ ধরনের গরমিল চলছে। তাই আদালতের কাছে তারা গত ১০ বছরের হিসাব তলবের আবেদন জানিয়েছিল।
তবে বন দফতরের তদন্তে উঠে এসেছে ভিন্ন চিত্র। এক আধিকারিক বলেন, ”তদন্ত রিপোর্ট সন্তোষজনক। কারণ, চিড়িয়াখানা থেকে কোনও প্রাণী গায়েব হওয়ার প্রমাণ মেলেনি। তাছাড়া দেশের যে কোনও চিড়িয়াখানায় প্রাণী আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় জ়ু অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার অনুমোদন আবশ্যক। ফলে সরকারি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রাণী পাঠানো সম্ভব নয়।”
তবে শুধু প্রাণী সংখ্যা নয়, আলিপুর চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরীণ পরিচালনায় কিছু গলদও চিহ্নিত করেছে তদন্ত কমিটি। বন দফতরকে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সেগুলি সংশোধনেরও সুপারিশ করা হয়েছে।