ভরা বর্ষার মরসুমেও বাজারে নেই প্রিয় পদ্মার ইলিশ। সীমান্তের অশান্তির কারণে বাংলাদেশের পদ্মা থেকে ইলিশ ভারতে আসেনি। ফলে এ বছর ইলিশপ্রিয় বাঙালির ভরসা গুজরাতের ভারুচ থেকে আসা ইলিশেই। ইতিমধ্যেই হাওড়ার পাইকারি বাজারে রেকর্ড পরিমাণ আমদানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা।
বাজারের অবস্থা
কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার, দিঘা বা শংকরপুর থেকে আসা ইলিশের যোগান এ বছর প্রায় নেই বললেই চলে। তার জায়গা নিয়েছে গুজরাতের রুপোলি শস্য।
- পাইকারি বাজারে ৭০০–৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি ₹৮০০।
- ৯০০–১১০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি ₹১০০০–₹১১০০।
- খুচরো বাজারে এসে সেই মাছের দাম বেড়ে হচ্ছে ₹১৩০০–₹১৫০০।
কলকাতার শিয়ালদহ, মানিকতলা, লেক মার্কেট, দমদম, গড়িয়াহাট, সল্টলেক, বেহালার বাজারে এখন এই গুজরাতি ইলিশই ভরসা।
ব্যবসায়ীদের দাবি
ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ জানিয়েছেন, এ বছর প্রায় ৪,৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ গুজরাত থেকে আমদানি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তাঁর কথায়, “এই ইলিশের স্বাদ ভালো, দামও তুলনামূলক কম হওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদা বেশি। তবে গুজরাতে শিগগিরই উৎপাদন কমতে শুরু করবে। তার মধ্যেই বাঙালির রান্নাপুজো আসছে। ফলে উৎসবের সময় পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।”
অর্থাৎ, আপাতত গুজরাতি ইলিশে স্বস্তি মিললেও সামনে রান্নাপুজো ঘিরে বাজারে ইলিশের যোগান নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।