অবশেষে নেপাল সরকারকে সিদ্ধান্ত বদলাতে হল। টানা বিক্ষোভ ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ফের চালু হল ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম-সহ একাধিক সামাজিক মাধ্যম। সোমবার গভীর রাতে জরুরি মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী পৃ্থ্বী সুব্বা গুরুং ঘোষণা করেন, সরকারের আগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “Gen Z-র দাবি মেনে সামাজিক মাধ্যম খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে আগের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সরকারের কোনও অনুশোচনা নেই।” একই সঙ্গে তিনি আন্দোলনকারীদের আন্দোলন প্রত্যাহারেরও আবেদন জানান।
সরকার জানিয়েছে, সোমবারের বিক্ষোভে পুলিশ ও প্রতিবাদকারীদের সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এর তদন্তে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি বৈঠকে বলেন, সরকারের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কয়েকটি সামাজিক মাধ্যম নেপালে নিবন্ধন করতে অস্বীকার করেছে। বিশেষ করে প্ল্যাটফর্ম X (পূর্বতন টুইটার) জানিয়েছে, তারা নেপালে কখনওই রেজিস্টার করবে না। ওলির মন্তব্য—“আমরা দেড় বছর ধরে বলছি, তারা আমাদের আইন মানুক। এটা দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন।”
গত সপ্তাহে সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় নেপাল সরকার নির্দেশ দিয়েছিল সব অনিবন্ধিত সামাজিক মাধ্যম বন্ধ করে দিতে। সরকারের দাবি ছিল, ভুয়ো আইডি ব্যবহার করে ঘৃণা ছড়ানো, ভুয়ো খবর ছড়ানো, প্রতারণা ও নানা অপরাধে এই প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহৃত হচ্ছিল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নিষিদ্ধ তালিকায় ছিল মেটার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ, অ্যালফাবেটের ইউটিউব, টেনসেন্ট, স্ন্যাপচ্যাট, পিন্টারেস্ট এবং X।
অবশেষে জনবিক্ষোভ ও প্রাণহানির চাপে নেপাল সরকারকে সামাজিক মাধ্যম খুলতে বাধ্য হতে হল।