হঠাৎ দিল্লি সফরে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর দিল্লি রওনা হওয়ার খবরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। কেন এই সফর—তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে নানা জিজ্ঞাসা উঠছে।
রাজভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, সদ্য নির্বাচিত উপরাষ্ট্রপতি সিপি রাধাকৃষ্ণণ-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে বোসের। শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে।
সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দেবেন
সম্প্রতি নেপালে অশান্তির জেরে ভারত-নেপাল সীমান্তে আঁটসাঁট হয়েছে নিরাপত্তা। বুধবার রাজ্যপাল বোস নিজে গিয়ে পরিদর্শন করেছেন উত্তরবঙ্গের পানট্যাঙ্কি সীমান্ত এলাকা। এসএসবি জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেছেন, স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, “সব দিক খতিয়ে দেখা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। পরিস্থিতি শান্ত, এসএসবি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে।”
শোনা যাচ্ছে, সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জমা দেবেন।
ফোর্ট উইলিয়ামের বৈঠক নিয়েও আলোচনা হতে পারে
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ফোর্ট উইলিয়ামে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। সে নিয়েও কেন্দ্রীয় স্তরে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজ্যপাল পরিবর্তনের জল্পনা
তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বোসের এই আকস্মিক দিল্লি সফরের নেপথ্যে অন্য বার্তাও লুকিয়ে থাকতে পারে। কয়েক মাস ধরেই জল্পনা চলছে, বাংলার রাজ্যপাল পরিবর্তিত হতে পারেন। সংবাদ প্রতিদিনে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নিতে পারেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বেলা মাধুর্য ত্রিবেদী। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কারণে এই প্রক্রিয়া থমকে ছিল। এখন তা গতি পেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ফলে রাজ্যপালের এই সফর শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ, নাকি পদ পরিবর্তনের প্রস্তুতি—তা নিয়েই সরগরম রাজ্য রাজনীতি।