প্রথম পাতা খবর বিহার-ইউপি থেকেও প্রার্থীর ঢল! রবিবার রাজ্যে একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

বিহার-ইউপি থেকেও প্রার্থীর ঢল! রবিবার রাজ্যে একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

75 views
A+A-
Reset

রবিবার রাজ্যে অনুুষ্ঠিত হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫০০ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজন করতে ৪৭৮টি কেন্দ্র তৈরি করেছে রাজ্য প্রশাসন।

শনিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, নির্বিঘ্ন পরীক্ষা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ স্তরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নবম-দশমের নিয়োগ পরীক্ষার আগে বিরোধী দলনেতার প্রশ্নফাঁস অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ তোলা হয়েছিল। এখন আবারও কিছু রাজনৈতিক মহল বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছে। কিন্তু এই পরীক্ষা স্বচ্ছভাবেই হবে।”

আগের পরীক্ষার মতো এ বারও বহু ভিন রাজ্যের পরীক্ষার্থী বসছেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সঠিক সংখ্যা কমিশন জানায়নি। শিক্ষামন্ত্রী মন্তব্য করেন, “বিহার, উত্তরপ্রদেশ বা বিজেপি শাসিত রাজ্যে সরকারি চাকরির সুযোগ নেই বলেই সেখানকার যুবকরা বাংলায় আসছেন। এটা খারাপ কিছু নয়। কিন্তু বাংলার মানুষকে অন্য রাজ্যে বাংলা বলার কারণে অত্যাচারের মুখে পড়তে হচ্ছে, এটা দুঃখজনক।”

এদিকে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের অনেকেই এবারও পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। তাঁরা প্রতিবাদস্বরূপ কালো পোশাকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছবেন বলে জানিয়েছেন। কমিশন সূত্রে খবর, ১২ হাজার ৫১৪টি শূন্যপদে ৩৬টি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে শূন্যপদের স্কুলভিত্তিক তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছে অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন। এসএসসি জানিয়েছে, কাউন্সেলিংয়ের আগে তালিকা প্রকাশ করা হবে।

পরীক্ষা শুরু হবে দুপুর ১২টা থেকে এবং চলবে ১.৩০টা পর্যন্ত। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীরা আধ ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় পাবেন। প্রার্থীদের সকাল ১০টার মধ্যে কেন্দ্রে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। অ্যাডমিট কার্ডে ভুল থাকলে আধার কার্ড ও স্বপ্রত্যয়িত নথি সহ প্রার্থীদের আগেভাগে কেন্দ্রে যেতে হবে। অস্পষ্ট ছবি বা স্বাক্ষর না থাকলে পরীক্ষাকেন্দ্রেই তা যাচাই করে ছাড় দেওয়া হবে।

পরীক্ষার্থীদের স্বচ্ছ বোতলে জল, স্বচ্ছ পেন নিয়ে ঢোকার অনুমতি থাকলেও অন্য কোনও কলম বাইরে রেখে ঢুকতে হবে। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকেই কলম দেওয়া হবে। ঘড়ি পরা নিষিদ্ধ—হলে থাকা ঘড়ি থেকেই সময় বুঝতে হবে প্রার্থীদের।

সব মিলিয়ে আড়াই লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীকে নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় নিয়োগ পরীক্ষাগুলির অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রবিবার।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.