রাজনৈতিক কর্মসূচির বদলে এ বার সম্পূর্ণ সরকারি সফরে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিন দিনব্যাপী যৌথ সেনাপতি সম্মেলন উদ্বোধন করতে রবিবার কলকাতায় আসেন তিনি। রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক না করেই সরকারি কর্মসূচি সারেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার দুপুরে শহর ছাড়ার আগে মন্ত্রী সুজিত বসুর মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘নমস্কার’ জানাতে ভোলেননি তিনি।
বিজেপি এ বার সফর ঘিরে বাড়তি আয়োজন করেনি। না ছিল কাটআউট, না পতাকার বাহুল্য। বিমানবন্দরে অবশ্য কর্মীদের জমায়েত ছিল, যেখানে মোদী গাড়ির পাদানিতে উঠে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান। সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিও পোস্ট করলেও সেখানে রাজনৈতিক কোনও উল্লেখ ছিল না।
সোমবার সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দুর্গে। সেখান থেকে রেসকোর্স হয়ে বিমানবন্দরে গিয়ে ২টার আগেই বিহারের উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় দলের নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। সুজিত বসুকে বলেন, “দিদিকে আমার নমস্কার জানাবেন।”
তবে শেষ মুহূর্তে বিতর্ক দানা বাঁধে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের গাড়ি আটকে দেওয়াকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, বিমানবন্দরের ভিভিআইপি গেট পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়নি তাঁর গাড়ি। পুলিশ ব্যারিকেডের বাইরে গাড়ি থামিয়ে তাঁকে হেঁটে ভিতরে যেতে হয়। অথচ রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর গাড়ি অবাধে ঢোকে।
ক্ষুব্ধ সুকান্ত জানান, “ডিসি ম্যাডাম আমার গাড়ি ঢুকতে দেননি। এ ঘটনায় আমি স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ জানাচ্ছি। লোকসভার স্পিকার তাঁকে ডেকে পাঠাবেন, আমি সংসদে জবাব দেব।”
সোমবারই তিনি স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানান। ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে।