এক রাতের প্রবল বর্ষণে কার্যত ভেসে গিয়েছে কলকাতার বহু অংশ। পুজোর মুখে শহরবাসীর দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিল নতুন নিম্নচাপের আশঙ্কা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। এর জেরে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। সপ্তমী পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি রয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫.৮ কিলোমিটার উচ্চতায় এর বিস্তার। পাশাপাশি পূর্ব-মধ্য ও সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরেও রয়েছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত। এর প্রভাবে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে নতুন করে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২৬ সেপ্টেম্বর ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেবে এটি। ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে দক্ষিণ ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূল সংলগ্ন এলাকায় স্থলভাগে ঢুকবে। এর প্রভাবে আগামী অন্তত সাত দিন দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। বিশেষ করে ২৭ তারিখ ভারী বর্ষণ হতে পারে কয়েকটি জেলায়।
শুক্রবার বৃষ্টি কিছুটা কম থাকলেও শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও ঝাড়গ্রামে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। সেই সময় ঘণ্টায় ৪০–৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কলকাতা-সহ অন্যান্য জেলায়ও শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির সতর্কতা জারি রয়েছে। শনিবার জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। সোমবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলায়।
ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকবে। উত্তর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় ৩৫–৫৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ফলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। রবিবার পর্যন্ত লাল সতর্কতা বলবৎ থাকবে।