প্রথম পাতা খবর স্বাধীনতার পর প্রথমবার বদলাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ঠিকানা, দিওয়ালির পরই সাউথ ব্লক ছাড়ছেন নরেন্দ্র মোদী

স্বাধীনতার পর প্রথমবার বদলাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ঠিকানা, দিওয়ালির পরই সাউথ ব্লক ছাড়ছেন নরেন্দ্র মোদী

15 views
A+A-
Reset

স্বাধীনতার পর এই প্রথম বদল হতে চলেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ঠিকানা। ঐতিহাসিক সাউথ ব্লক ভবন ছেড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবার পা রাখবেন একেবারে নতুন দপ্তরে। সূত্রের খবর, দিওয়ালির পরই প্রধানমন্ত্রী স্থানান্তরিত হবেন সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে তৈরি নতুন প্রশাসনিক ভবনের দপ্তরে।

নতুন দপ্তরটি তৈরি হয়েছে এগজিকিউটিভ এনক্লেভ-১-এর সেবা তীর্থ-১ ভবনে। একই প্রকল্পের অধীনে সেবা তীর্থ-২ তে তৈরি হচ্ছে মন্ত্রিসভার সচিবালয়, আর সেবা তীর্থ-৩-এ থাকছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের (NSA) দপ্তর। এই তিনটি ভবন মিলে গড়ে উঠছে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের নতুন আধুনিক কমপ্লেক্স।

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সাউথ ব্লকের ঐতিহ্যবাহী ভবনে অবস্থিত। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই ভবনে দীর্ঘ ৭৭ বছর ধরে কাজ চালিয়ে এসেছে দেশের প্রশাসনিক কেন্দ্র। এবার সেই ইতিহাসে ঘটছে নতুন অধ্যায়।

গত ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর স্থানান্তর নিয়ে ক্যাবিনেট সচিব টি. ভি. সোমনাথনের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান, নৌসেনাপ্রধান, বায়ুসেনাপ্রধান এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান।

সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অধীনে এই নতুন প্রশাসনিক এলাকা তৈরি হচ্ছে আধুনিক, প্রযুক্তি-সমৃদ্ধ ও পরিবেশবান্ধব কাঠামোয়।
নতুন ভবনটি তৈরি হয়েছে কর্তব্য পথ বরাবর সেন্ট্রাল ভিস্তা এলাকার মধ্যেই। ভবিষ্যতে এই এলাকাতেই থাকবে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের দপ্তর, যাতে প্রশাসনিক কাজ আরও সংযুক্তভাবে করা যায়।

বর্তমান সাউথ ব্লক ও নর্থ ব্লক ভবনগুলিকে সংরক্ষিত রাখা হবে। ভবিষ্যতে এগুলিকে রূপান্তরিত করা হবে “যুগ–যুগিন ভারত সংগ্রহালয়” (Museum of Bharat)-এ, যেখানে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাস, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং সাংবিধানিক ঐতিহ্যের নিদর্শন সংরক্ষিত থাকবে।

কেন্দ্রীয় সরকার দীর্ঘদিন ধরেই বলছে, তাঁদের লক্ষ্য “ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন ভারতের প্রতীকী স্থাপত্য গড়ে তোলা।” এই প্রকল্পের মূল পরিকল্পনা ও মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হয় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে

মোট ২০,০০০ কোটি টাকার সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে নতুন সংসদ ভবন, সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ, বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তর এবং অন্যান্য পরিকাঠামো উন্নয়ন। এরই অংশ হিসেবে তৈরি হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নতুন দপ্তরও।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.