প্রথম পাতা খবর নথিভুক্ত হলেই টোটো চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের, জানালেন পরিবহণমন্ত্রী

নথিভুক্ত হলেই টোটো চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের, জানালেন পরিবহণমন্ত্রী

40 views
A+A-
Reset

রাজ্যের সব প্রান্তে চলাচল করা টোটোগুলিকে এবার সরকারি রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ দফতর। টোটো চলাচলকে শৃঙ্খলাবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রণে আনতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, টোটো নিবন্ধনের কাজ শেষ হলে টোটো চালকদেরও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে।

ইতিমধ্যেই ১৩ অক্টোবর থেকে রাজ্যজুড়ে টোটো নিবন্ধনের কাজ শুরু হয়েছে, যা চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে রাজ্যে মোট কত সংখ্যক টোটো চলছে, তা স্পষ্টভাবে জানতে পারবে পরিবহণ দফতর। এরপরই জেলা-ওয়ারি তথ্যের ভিত্তিতে চালকদের লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “এত দিন টোটোর উপর পরিবহণ দফতরের কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। যত্রতত্র টোটো চলাচলের ফলে শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। এখন নিবন্ধনের ফলে দফতর স্পষ্ট নীতি তৈরি করতে পারবে। তাই টোটো চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।”
পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক জানান, একবার টোটোর প্রকৃত সংখ্যা হাতে এলে জেলাভিত্তিক অফিসগুলিই লাইসেন্স ইস্যু করবে, ফলে প্রক্রিয়া সহজ হবে। একইসঙ্গে, এই উদ্যোগের ফলে রাজ্যের রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পাবে বলে জানা গিয়েছে।

তবে এই সরকারি পদক্ষেপ নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করে বলেছেন,“৮ লক্ষ কোটি টাকার ঋণে জর্জরিত রাজ্য সরকার টোটো নিবন্ধনের নামে টাকা তুলতে চাইছে। নিবন্ধনের জন্য ১,০০০ টাকা এবং প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে দিতে হবে — বছরে ১,২০০ টাকা। এটা ছোট অঙ্ক নয়।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “এখন রাজ্য সরকার মূলত মদ-নির্ভর। ২০ হাজার নতুন মদের দোকান খুলেছে। সামনে নির্বাচন, তাই কোষাগার ভরাতে এই উদ্যোগ।”

বিরোধী নেতার অভিযোগের জবাবে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী পাল্টা বলেন, “অনিয়ন্ত্রিত টোটো চলাচলের কারণে যানজট বাড়ছিল। তাই টোটো ও ই-রিক্সাকে নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিবহণ দফতর যে রাজস্ব পায়, তা পরিবহণ পরিষেবা উন্নয়নের কাজেই ব্যয় হয়। বিরোধীদের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”

রাজ্যের তরফে আশা করা হচ্ছে, এই উদ্যোগের ফলে শুধু টোটো পরিষেবা নয়, যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, পরিবহণ নিরাপত্তা ও আর্থিক শৃঙ্খলায়ও উন্নতি আসবে।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.