শোকের ছায়া চলচ্চিত্র মহলে। প্রয়াত স্বনামধন্য জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক গৌতম ঘোষের স্ত্রী নীলাঞ্জনা ঘোষ। শুক্রবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেই সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না পরিচালক এবং তাঁর পুত্র ঈশান ঘোষ — দু’জনেই কর্মসূত্রে বাইরে ছিলেন। অসুস্থবোধ করতেই নীলাঞ্জনা নিজেই ফোনে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খবর পেয়ে গৌতম ঘোষ তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরে এসে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকুরিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান।
কন্যা আনন্দী ঘোষ-ও খবর পেয়ে ছুটে আসেন হাসপাতালে। তবে চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও শেষরক্ষা হয়নি। শনিবার ভোররাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নীলাঞ্জনা ঘোষ।
এই খবরে শোকস্তব্ধ গৌতম ঘোষের পরিবার, বন্ধুমহল এবং বাংলা চলচ্চিত্রজগৎ।
শনিবার সকালে এক্স (X) হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, “আমার প্রিয় নীলাঞ্জনা ঘোষের মৃত্যুতে আমি শোকবিহ্বল। আমার বউদি, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষের স্ত্রী আজ সকালে প্রয়াত হন। তাঁর সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল এবং আমি বিচলিত বোধ করছি। নানা সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। আমরা জানতাম, তাঁর হাতের কাঁথা-শিল্পের কাজ ছিল খুব সুন্দর। সেসব কথা মনে পড়ছে আজ।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, “গৌতমদাকে সান্ত্বনা জানানোর কোনও ভাষা আমার জানা নেই। তবু তাঁকে মন শান্ত রেখে তাঁর কাজ চালিয়ে যেতে অনুরোধ করব। বউদির কথা মনে রেখেই এই কাজ তাঁকে করতে হবে।”
চলচ্চিত্র ও সাংস্কৃতিক মহলে গৌতম ঘোষ-নীলাঞ্জনা ঘোষ দম্পতির প্রভাব ছিল দীর্ঘদিনের। নীলাঞ্জনা দেবী সমাজসেবামূলক কাজ এবং ঐতিহ্যবাহী কাঁথাশিল্পে দক্ষতার জন্য পরিচিত ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে রাজ্যজুড়ে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।