অবশেষে কিছুটা স্বস্তির খবর ভারতীয় ক্রিকেটভক্তদের জন্য। গুরুতর চোট পাওয়ার পর আইসিইউ-তে ভর্তি হওয়া শ্রেয়স আয়ারকে মঙ্গলবার সিডনির হাসপাতালের আইসিইউ থেকে বার করা হয়েছে। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, তিনি এখন স্থিতিশীল, এবং রক্তক্ষরণও বন্ধ হয়েছে। তবে নতুন করে চিন্তা জাগাচ্ছে সংক্রমণের আশঙ্কা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, শ্রেয়সের ক্ষতস্থান থেকে কোনও রকম সংক্রমণ না ছড়ায়, সেই দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বিসিসিআইয়ের চিকিৎসক রিজ়ওয়ান খান। বোর্ড জানিয়েছে, আপাতত অন্তত সাত দিন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে শ্রেয়সকে।
ঘটনাটি ঘটেছিল গত শনিবার, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিডনিতে অনুষ্ঠিত শেষ একদিনের ম্যাচে। অ্যালেক্স ক্যারের ক্যাচ ধরতে গিয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে গুরুতর আঘাত পান শ্রেয়স আয়ার। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, সাধারণ চোট। কিন্তু সাজঘরে ফেরার পর দেখা যায়, তাঁর রক্তচাপ হঠাৎ অনেকটা নেমে গিয়েছে এবং জ্ঞান হারান শ্রেয়স। পরিস্থিতি জটিল বুঝে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ভর্তি করা হয় আইসিইউ-তে।
বোর্ডের মেডিক্যাল দলের বিবৃতি অনুযায়ী, শ্রেয়সের চোটের জায়গায় স্ক্যান করানো হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, তাঁর প্লীহায় (spleen) ক্ষত রয়েছে। চিকিৎসা চলছে সিডনির বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে, এবং ভারতের চিকিৎসকদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
এদিকে, শ্রেয়সের পরিবারের সদস্যরাও তাঁর পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। বাবা সন্তোষ আয়ার এবং মা রোহিনী আয়ার জরুরি ভিসার আবেদন করেছেন। বিসিসিআইয়ের তরফে তাঁদের দ্রুত অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর উদ্যোগ চলছে। ভিসা জটিলতার কারণে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রে আরও জানা গেছে, শ্রেয়সের বন্ধুরা ইতিমধ্যেই সিডনির হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছেন। পরিবারের অন্তত একজন সদস্যকে হাসপাতালে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বোর্ড সূত্রে খবর, শ্রেয়সকে আপাতত দেশে ফেরানো হবে না। পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে সিডনিতেই রাখা হবে। চিকিৎসা সম্পূর্ণ সেরে উঠলেই তবেই দেশে ফিরবেন ভারতীয় ব্যাটার।
এদিকে, ভারতের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে বুধবার থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে শুভমন গিলরা ক্যানবেরায় পৌঁছে গিয়েছেন। তবে শ্রেয়স আয়ার এই দলে ছিলেন না, ফলে দলের গঠনে কোনও পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়েনি।