দিল্লির লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২। ঘটনার তদন্তে এবার বড় সিলমোহর দিল ডিএনএ পরীক্ষা। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণস্থলে পাওয়া দেহাংশের সঙ্গে মিলেছে উমর উন-নবি বা উমর মহম্মদের পরিবারের নমুনা। ফলে নিশ্চিত হয়েছে যে, হুন্ডাই আই২০ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন চিকিৎসক উমর নবিই।
তদন্তকারী সূত্রে জানা যায়, গাড়ির ভিতর থেকে পাওয়া দেহাংশের ডিএনএ উমরের মা এবং ভাইয়ের ডিএনএর সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা থেকে তাঁর মা-কে নমুনা সংগ্রহের জন্য আগেই আটক করেছিল পুলিশ। দিল্লি পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, “সন্দেহভাজনের মায়ের নমুনার সঙ্গে বিস্ফোরণস্থল থেকে পাওয়া দেহাংশ মিলিয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।”
বিস্ফোরণের পর প্রথম সূত্র পাওয়া গিয়েছিল গাড়ির নম্বর প্লেট থেকে। সেই সূত্রে জনৈক মহম্মদ সলমন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। জেরায় সলমন জানান, তিনি গাড়িটি পুলওয়ামার বাসিন্দা উমরের কাছে বিক্রি করেছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজেও বিস্ফোরণের আগে চালকের আসনে উমরকে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল। যদিও সে বিষয়ে পুলিশ আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
তদন্ত আরও এগোতেই সামনে এসেছে নতুন তথ্য। গ্রেফতার হওয়া মুজ়াম্মিল আহমেদের ফোন ঘেঁটে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনি বেশ কয়েকবার লালকেল্লার সামনে গিয়েছিলেন। সন্দেহ, প্রজাতন্ত্র দিবসকে লক্ষ্য করে রেকি চালানো হয়েছিল। আরও জানা গিয়েছে, চিকিৎসক উমরও তার সঙ্গে গিয়েছিলেন।
এদিকে, উমরের আরেকটি গাড়িরও খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। লাল রঙের ফোর্ড ইকোস্পোর্ট গাড়িটি হরিয়ানার একটি বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়িটির ভিতরে বিস্ফোরক থাকতে পারে বলে সন্দেহ, তাই আপাতত অতিরিক্ত সতর্কতার সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বিস্ফোরণে জড়িতরা বিভিন্ন কাজে এই লাল ইকোস্পোর্টটি ব্যবহার করত। এমনকী, বিস্ফোরণের পরও গাড়িটি চলাচল করেছে। তাই এর ভিতর থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ বা বিস্ফোরক উদ্ধারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
লালকেল্লার কাছে সোমবার সকালে সাদা রঙের হুন্ডাই আই২০ গাড়িতে বিস্ফোরণটি ঘটে। তার কিছুক্ষণ আগে ফরিদাবাদে তল্লাশি চালিয়ে জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানা পুলিশের যৌথ বাহিনী বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করে এবং গ্রেফতার করে মুজ়াম্মিল-সহ কয়েকজনকে। সামগ্রিকভাবে পুরো মডিউলটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।