উত্তরবঙ্গের পর্যটন ও সাংস্কৃতিক পরিকাঠামোয় বড় রদবদলের পথে এগিয়ে চলেছে রাজ্য। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মাটিগাড়ায় মহাকাল মন্দির নির্মাণের জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে জমি বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে উত্তরবঙ্গের ধর্মীয় পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ হবে।
সরকারের তথ্যানুযায়ী, দার্জিলিং জেলার মাটিগাড়া থানার উজানো এবং গৌড়চরণ মৌজার মোট ২৫.১৫ একর জমি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এই জমির একটি বড় অংশ আগে পর্যটন দফতরের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, তা এখন আনুষ্ঠানিক ভাবে মন্দির নির্মাণের জন্য হস্তান্তর করা হবে। সঙ্গে তৈরি করা হবে একটি বৃহৎ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও। সরকারের আশা, এতে যেমন পর্যটন বাড়বে, তেমনই স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও বৃদ্ধি পাবে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে পর্যটন সংক্রান্ত আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। দার্জিলিং জেলার ডাবগ্রাম এলাকায় তৈরি হবে আন্তর্জাতিক মানের একটি কনভেনশন সেন্টার। এশিয়ান হাইওয়ে–২-এর ধারে ১০ একর জমির উপর নির্মিত এই কেন্দ্রটি উত্তরবঙ্গের বৃহৎ অনুষ্ঠানের জন্য অন্যতম প্রধান গন্তব্য হয়ে উঠতে পারে। বর্তমানে রাজ্যের বড় দুই কনভেনশন সেন্টার—নিউ টাউনের ‘বিসিসিআই’ এবং দিঘার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে ডাবগ্রাম।
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “উত্তরবঙ্গে বহুদিন ধরেই বড় পরিসরের কনভেনশন সেন্টারের দাবি ছিল। সেই প্রয়োজন মেটাতে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ করেছে।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ব প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতেই মহাকাল মন্দির নির্মাণ প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এই দু’টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে উত্তরবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক মহল।