মেঘলা আকাশের কারণে মঙ্গলবার কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হঠাৎই বেড়ে যায়। রাতের তাপ বিকিরণ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় মঙ্গলবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩.৪ ডিগ্রি বেশি। তবে আজ, বুধবার থেকেই পরিস্থিতির বদল শুরু হবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।
আগামী চার দিনে দক্ষিণবঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩–৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে, ফলে শীতের অনুভূতি ফের জোরালো হবে। কলকাতায় ধাপে ধাপে পারদ নেমে ১৫ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছতে পারে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা আরও কমে ১০–১২ ডিগ্রি হতে পারে। উত্তরবঙ্গেও পারদ কমবে ২–৩ ডিগ্রি।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘দিতাওয়া’র অবশিষ্টাংশ মঙ্গলবারের মধ্যে দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার কথা। তার ফলে বায়ুমণ্ডলে পরিবর্তন শুরু হবে। গত কয়েক দিনে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢোকার হার বেড়ে গিয়েছিল। একই সঙ্গে উত্তরভারতের নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাবে উত্তুরে হাওয়ার গতিও কমে গিয়েছিল। এই সব মিলিয়ে সোমবার দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘলা ছিল এবং পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় হালকা বৃষ্টি হয়েছিল।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস বলেন, “আকাশ মেঘলা থাকলে ভূপৃষ্ঠ থেকে তাপ বিকিরণ ব্যাহত হয়, ফলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে যায়। মঙ্গলবার কলকাতায় সেটাই দেখা গেছে।” তিনি আরও বলেন, আজ থেকে উত্তুরে হাওয়া সক্রিয় হলে তাপমাত্রা দ্রুতই কমতে শুরু করবে।
দক্ষিণবঙ্গে মঙ্গলবার সবচেয়ে কম সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পুরুলিয়ায়—১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ থেকে তা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। সামগ্রিকভাবে বলা যায়, ডিসেম্বরের শুরুতেই দক্ষিণবঙ্গে শীতের দাপট বাড়তে চলেছে।