ডেস্ক: বাংলার শিল্পী মহলে ফের শোকের ছায়া। চলে গেলেন বাচিক শিল্পী গৌরী ঘোষ, বিরাট শূন্যতা তৈরি হল আবৃত্তির জগতে। বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। মাসখানেক আগে স্ট্রোক হয়েছিল প্রবীণ শিল্পীর, এরপর অবস্থার অবনিত হয়। গত একসপ্তাহ ধরে ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে ভর্তি ছিলেন আরএন টেগোর হাসপাতালে। বেশ কিছুদিন ধরে ভুগছিলেন গৌরী ঘোষ। শেষ কিছুদিন ছিলেন ভেন্টিলেশন সাপোর্টে। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শিল্পীর মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবেই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
বাংলা আবৃত্তি জগতের উজ্জ্বল দুই নক্ষত্র গৌরী ঘোষ এবং পার্থ ঘোষ। বাস্তবে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের যৌথ শ্রুতি নাটক ‘কর্ণকুন্তি সংবাদ’ জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে কিংবদন্তি হয়ে ওঠে একসময়। রেডিওতে উপস্থাপক হিসাবে তাঁদের কেরিয়ার জগতের শুরু। বহু জনপ্রিয় শো-এর উপস্থাপনা করতে দেখা গেছে বাচিক শিল্পী জুটিকে। তিন দশক ধরে আকাশবানীর বহু অনুষ্ঠানে গৌরীদেবীকে শুনেছেন বাঙালি।
আরও পড়ুন: দ্রুত উপনির্বাচনের দাবিতে আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল
তিনি পরবর্তী প্রজন্মের আবৃত্তিকারদের কাছে ছিলেন অগ্রজপ্রতিম। তাঁর উচ্চারণ দক্ষতা, অভিব্যক্তিতে মুগ্ধ সকলেই। বাচিক শিল্পী ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, গৌরী ঘোষ ছিলেন তাঁর মায়ের মতো। ‘মনে হচ্ছে দ্বিতীয়বার মাতৃহারা হলাম। পরিবারে মা চলে গেলে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়, এখনও তেমনটাই মনে হচ্ছে।’
সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্রও এককথায় ভেঙে পড়েছেন। তিনি বলেন, গৌরীদেবী সবসময় জোর দিতেন স্পষ্ট উচ্চারনে। জয় গোস্বামীর মালতীবালা বালিকা বিদ্যালয় অবলম্বনে ‘বেণীমাধব’ গানটি গাইবার সময় অনুসরণ করেছিলেন তাঁর উচ্চারণ, অভিব্যক্তিকে।