ডেস্ক: মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির হেস্টিংসের দফতরে নব নিযুক্ত সভাপতিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় বিজেপির তরফ থেকে। দিলীপ ঘোষকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি একজন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। বিকল্প হিসেবে এসেছেন সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বলছেন, “কলকাতা থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরের একজন সাধারণ কর্মীকে এমন কাজের দায়িত্ব দেওয়াটা বিজেপির পক্ষেই সম্ভব। এর জন্য অমিত শাহ, বিএল সন্তোষ, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে আমি ধন্যবাদ জানাই।”
দিলীপ ঘোষ নিজে পদ্মফুল, কলম, মালা দিয়ে স্বাগত জানান সুকান্ত মজুমদারকে। বলেন, ”আপনি শিক্ষক মানুষ, তাই পেন দিলাম আপনাকে।” এরপরই সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পাশে নিয়েই একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন সুকান্ত। হাবে ভাবে একটা জিনিস বুঝিয়ে দেন তিনি। সেটা হল- দিলীপ যে আগ্রাসন দিয়ে দল এবং সংগঠন পরিচালনা করেছেন, তিনি তার থেকে খুব একটা পিছিয়ে আসবেন না। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সুকান্ত বলেন, ‘এ রাজ্যে তালিবানি কায়দায় সরকার চলছে।’
সহকর্মীদের আন্তরিকতা দেখে আপ্লুত সুকান্ত মজুমদার বলেন, ”দিলীপদার থেকে লড়াই শিখেছি। তাঁর আদর্শকে সামনে রেখে, সকলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলব।” তাঁর মতে, দিলীপ ঘোষ নিজে এক ‘ব্র্যান্ড’। তাঁর বিকল্প কেউ নেই। রোজ সকাল সকাল দিলীপের ‘চায়ে পে চর্চা’ চলবে বলেও জানান সুকান্ত। সুকান্তর কথায়, পশ্চিমবঙ্গের সফলতম রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিনয়ী বলে পরিচিত সুকান্ত দিলখোলা ভাবেই বললেন, “রাজ্য সভাপতি হিসেবে বিজেপির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে দিলীপ ঘোষের নাম।”
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় থানাতেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন কুণাল ঘোষ, ভর্তি হাসপাতালে
তাঁর সাফ হুঁশিয়ারি, ভয় দেখিয়ে কিছু বিধায়ক-সাংসদকে নিয়ে চলে গেলে ভাবছে বিজেপি শেষ হয়ে যাবে, তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। তবে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। তবে একটা দিন আসবে যেদিন পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই তালিবান সরকারকে উৎখাত করা হবে। সুকান্তবাবুর মতে, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের তালিবানিরাজ চলছে। এই শাসন থেকে পশ্চিমবঙ্গবাসীকে রক্ষা করতে হবে। আর সেটা বিজেপিই পারবে বলেই দাবি নয়া রাজ্য সভাপতির।