২০২৪কে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তৃণমূল। লক্ষ্য দিল্লির মসনদ। এবার আর তাই কোনও রকম তাড়াহুড়ো বা ভুলভ্রান্তি না করে পরিকল্পনা মাফিক একদম স্টেপ বাই স্টেপ এগোতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। আঞ্চলিক দল এর তকমা এবার পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলে স্থায়ীভাবে জাতীয় দল এর স্ট্যাটাস পাওয়াটাই প্রাথমিক লক্ষ্য জোড়াফুল শিবিরের। এই লক্ষ্যে এবার দলের খোল নলচে পুরোপুরি বদলে ফেলতে চলেছে এআইটমসিপি বা অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস।
বৃহত্তর এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই সোমবার কালীঘাটে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বসে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। ২০২৪ এর নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই ঘুটি সাজানো শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখেই এখন থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হবে। এদিন বৈঠক শেষে এমনটাই জানান তৃনমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ওব্রায়েন।
জাতীয় দল হিসেবে মেলে ধরতে যা যা করণীয় সেই সবই করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার বাইরে ইতিমধ্যেই মেঘালয়ের প্রধান বিরোধী দলের তকমা হাসিল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরাতেও দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করছে দল। অপর দিকে উত্তরপ্রদেশ, গোয়া কিংবা পঞ্জাব এর মতন রাজ্যেও জোড়া ফুল এর উপস্থিতি জানান দিতে শুরু করেছে দল।
নিজেদেরকে নতুন করে মেলে ধরার এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করার উদ্দ্যেশে দলের সংবিধানেও পরিবর্তন ঘটাতে চলেছে তৃণমূল। এই মুহূর্তে দলের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ২১ জন। তবে দ্রুত সংবিধান পরিবর্তন করে এই সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে গোয়া, মেঘালয়, অসম, ত্রিপুরা কিংবা ইউপি, পঞ্জাব থেকেও প্রতিনিধি রাখা হতে পারে ওয়ার্কিং কমিটিতে। তবে যাই হোক না কেন, সেটা পুরোটাই করবেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ দল তাঁর উপরেই এই কাজের ভার অর্পণ করেছে। এদিন কালীঘাটের মিটিং শেষে এমনটাই জানান ডেরেক ওব্রায়েন।