দেশ জুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণ। ওমিক্রন সংক্রমিতের সংখ্যা সারা দেশে এই মুহূর্তে ৫০০-র গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। রাজ্যেও একের পর এক ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলছে।
এমন এক পরিস্থিতিতে বাংলার ওমিক্রন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে একটি বৈঠকে বসে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ওমিক্রন সংক্রান্ত এই বিশেষ বৈঠকে নেতৃত্ব দেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব সঞ্জয় বনশাল ও স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তী।
এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, শহরে ওমিক্রন আক্রান্তদের চিকিৎসা হবে আমরি, বেলভিউ, উডল্যান্ডস, সিএমআরআই, চার্নক হসপিটাল, ফর্টিস হসপিটাল, আরএন টেগোর, রুবি এবং আইএলএস হাসপাতালে।
এই আবহে এদিনের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, ওমিক্রন অতি সংক্রামক ভ্যারিযেন্ট হওয়ায় অন্যান্য কোভিড রোগীদের থেকে ওমিক্রন আক্রান্তকে পৃথক ভাবে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এই আবহে কোভিডের জন্য হাসপাতালগুলিকে তিনটি পৃথক ওয়ার্ড তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। একটি ওয়ার্ডে থাকবেন সাধারণ কোভিড রোগীরা। দ্বিতীয় ওয়ার্ডে থাকবেন ওমিক্রন সন্দেহে ভর্তি হওয়া রোগীরা আর তৃতীয় ওয়ার্ডে চিকিৎসা করা হবে ওমিক্রন পজিটিভ রোগীদের।
এদিকে ইতিমধ্যেই ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের জন্য বেলেঘাটা আইডিকে নোডাল হাসপাতাল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে কি না বুঝতে কলকাতা পুর এলাকায় জিনোম মিকোয়েন্সিং করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। যেসব করোনা রোগীর সিটি ভ্যালু ৩০-এর নিচে, তাদের জিনোম সিকোয়েন্সিং হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।