বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্রকে (Dharmendra) বুধবার সকালে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি ৩১ অক্টোবর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে ভর্তি ছিলেন। প্রায় ১২ দিন চিকিৎসার পর অবশেষে চিকিৎসকদের পরামর্শে বাড়ি ফিরেছেন এই ৮৯ বছর বয়সি তারকা।
বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ধর্মেন্দ্রকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক প্রফেসর প্রীত সমদানি (Dr. Prof Pratit Samdani), যিনি তাঁর চিকিৎসা করছিলেন, NDTV-কে জানিয়েছেন— “ধর্মেন্দ্রজি এখন স্থিতিশীল। তাঁকে আজ সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবারের ইচ্ছেতেই এখন থেকে তাঁর চিকিৎসা বাড়িতেই চলবে।”
অভিনেতার পরিবারের তরফ থেকেও একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে—“ ধর্মেন্দ্রকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং তিনি এখন বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছেন। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি যেন আর কোনও অনুমান বা জল্পনা না ছড়ানো হয় এবং এই সময়ে তাঁর ও পরিবারের গোপনীয়তাকে সম্মান করা হয়। সকলের ভালোবাসা ও প্রার্থনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।”
তবে মঙ্গলবার থেকেই সামাজিক মাধ্যমে ধর্মেন্দ্রর মৃত্যু নিয়ে একাধিক গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তা খণ্ডন করে অভিনেতার কন্যা ঈশা দেওল (Esha Deol) এক বিবৃতি জারি করেন। নিজের ইনস্টাগ্রামে তিনি লেখেন, “মিডিয়া এবং কিছু সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ভুল খবর ছড়ানো হচ্ছে। আমার বাবা স্থিতিশীল এবং সুস্থ হয়ে উঠছেন। সবাইকে অনুরোধ করছি, আমাদের পরিবারকে একটু গোপনীয়তা দিন এবং পাপার দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করুন।”
ধর্মেন্দ্রর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ভক্ত ও সহকর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এখন তিনি বাড়িতে চিকিৎসাধীন এবং চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন বলে জানা গেছে।
