কলকাতা: একে একে চারটি পুজো কমিটির তরফেই ফিরিয়ে দেওয়া হল রাজ্যপালের দেওয়া “দুর্গারত্ন” পুরস্কার।
এ বছরে চারটি পুজো কমিটিকে সেরার শিরোপা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছিল রাজভবন থেকে। যেগুলি হল কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাব, কলকাতার টালা প্রত্যয় এবং উত্তর ২৪ পরগনার বরানগর লোল্যান্ড এবং বরানগর বন্ধুদল।
প্রথমে এই পুরস্কার প্রত্যাখান করে কল্যাণীর লুমিনাস, তার পর টালা প্রত্যয়। এর পর রাজ্যপালের দুর্গারত্ন সম্মান প্রত্যাখ্যান করল আরও ২ পুজো কমিটি । রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দেওয়া পুরস্কার নেবে না বরানগর লোল্যান্ড ও বন্ধুদল ক্লাবও।
পুরস্কার প্রত্যাখ্যান নিয়ে লুমিনাস ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তা অরূপ মুখোপাধ্যায় জানান, এর সঙ্গে রাজনীতিকে জুড়ে দিলে চলবে না। পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্কই নেই। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল ১০০ দিনের কাজের টাকা পেতে দিল্লিকে জানাক। গরিব মানুষ প্রাপ্য টাকা পেলেই ভাবব আমরা পুরস্কার পেয়ে গিয়েছি।”
টালা প্রত্যয় সোসাইটির সম্পাদক শান্তনু ঘোষ বলেন, “কলকাতায় যারা দুর্গাপুজো করে তাদের যত প্রতিযোগিতা হয়, তাতে আবেদন পদ্ধতি থাকে, জাজেস প্যানেল আসা, দেখানো সবটা থাকে। তারপর তো হার জিৎ। এই লড়াইয়ে কিন্তু একটা ভ্রাতৃত্ববোধও কাজ করে। একটা বন্ডিংও কাজ করে কলকাতার সমস্ত দুর্গাপুজোর। সেখানে আমরা তো এটায় কোনওভাবেই অ্যাপ্লাই করিনি। তারা কীভাবে এটার বিচার করলেন জানি না। কলকাতায় শুনলাম একমাত্র আমরাই পেয়েছি। সেটা আমার মনে হচ্ছে কলকাতার সমস্ত দুর্গাপুজোর যে বন্ডিং সেটা বোধহয় কোনও একটা জায়গায় ধাক্কা খাচ্ছে। কোনও বিচারক, প্রসেস ছাড়া এটা চলছে। আমরা তাই বিরত থাকছি। তবে পরের বছর যদি ওনারা সুন্দর নিয়ম অনুযায়ী সবটা করেন, বিচারক আসেন সবটা দেখেন, তারপর দেখা যাবে।”
এর পর বরানগরের দুই পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের কথা জানিয়ে দেন বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। তিনি বলেন, “সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করছি। বন্ধুদলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিল। রাজ্যপাল আসতে পারেন যে কোনও জায়গাতেই। কিন্তু ওটার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই। দিল্লিতে যে গেছিলাম বঞ্চনার অভিযোগে সেই দুর্গারত্ন আগে দিক”।