নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু অন্তত ১৮ জনের। আহত হয়েছেন বহু যাত্রী। শনিবার রাতে কুম্ভমেলার পুণ্যার্থীদের ভিড়ে ধাক্কাধাক্কির জেরে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, রাত ১১টা নাগাদ প্ল্যাটফর্ম ১৩ ও ১৪-তে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ তৈরি হয়। ট্রেন আসতে দেরি হওয়ায় অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সেই আতঙ্কে যাত্রীরা হুড়োহুড়ি শুরু করেন এবং পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের চারটি ইঞ্জিন এবং রেল পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। দিল্লি পুলিশ পরে নিশ্চিত করে যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনটি শিশু ও ১৪ জন মহিলা রয়েছেন।
ঘটনার জেরে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “নয়াদিল্লি রেল স্টেশনের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।” রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে উত্তর রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দাবি করেছেন, স্টেশনে কোনও পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেনি। গুজবের কারণেই এই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রয়াগরাজে যাওয়ার জন্য দুটি বিশেষ ট্রেন চালানো হচ্ছে যাতে পুণ্যার্থীদের সুবিধা হয়।
রেল পুলিশের ডিসি জানিয়েছেন, ওই সময় স্টেশনে কয়েকটি ট্রেন দেরিতে ছিল এবং প্রায় ১৫০০ সাধারণ টিকিট বিক্রি হয়েছিল, যার ফলে প্ল্যাটফর্মে বিপুল ভিড় তৈরি হয়। সেই চাপ সামলাতে না পেরে দুর্ঘটনা ঘটে।