বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ভয়াবহ পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের সবার বয়সই ৪০ বছরের কম। মৃতদের মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ঠ ১৩ বছরের দিব্যাংশী। তিন জন কিশোর-সহ মৃতদের মধ্যে ছ’জনের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
অধিকাংশেই বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা, কেউ কেউ এসেছিলেন শহরের বাইরের জেলা থেকেও। ১৮ বছরের অপেক্ষার পর আইপিএল ট্রফি জয়ী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) দলকে অভিনন্দন জানাতে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু উচ্ছ্বাস মুহূর্তে পরিণত হয় মর্মান্তিক মৃত্যুমিছিলে। বিপুল জনজোয়ারে ভেঙে পড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ঘটে পদপিষ্টের ঘটনা। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের, আহত অন্তত ৪৭।
মৃতরা হলেন — দিব্যাংশী (১৩), দোরেশা (৩২), ভূমিক (২০), সাহানা (২৫), অক্ষতা (২৭), মনোজ (৩৩), শ্রবণ (২০), দেবী (২৯), শিবালিঙ্গা (১৭), চিন্ময়ী (১৯) এবং প্রজ্বল (২০)।
দ্রুত প্রস্তুতি, পর্যাপ্ত পরিকল্পনার অভাব এবং অতিরিক্ত ভিড়— এই তিনটি কারণকে দায়ী করা হচ্ছে দুর্ঘটনার জন্য। প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়েও। ভিধান সৌধে রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার যখন দলের সংবর্ধনার আয়োজন করছিলেন, তখন নিরাপত্তার বড় অংশ সেখানে মোতায়েন ছিল। এর ফলে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের কয়েক লক্ষ জনতার ভিড় সামলাতে হাতে গোনা পুলিশ ছিল মাত্র।
যেখানে স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা ৩৫ হাজার, সেখানে ভিড় হয়েছিল প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের। সেই অতিরিক্ত ভিড়ই মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।