ডেস্ক: কোভিডের জন্য অনেক পুজো কমিটি স্পনসর পায়নি। দুর্গাপুজো কমিটিকে ৫০,০০০ টাকা অনুদান দেবে রাজ্য সরকার। সেইসঙ্গে প্রতিটি কমিটির বিদ্যুতের বিলে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।গতবছরে যেসব সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল এবারেও সেগুলো বজায় থাকছে। এমনটাই জানালেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। রাজ্যের এই ঘোষণের পরই এনিয়ে নির্বাচন কমিশনে দরবার করছে রাজ্য বিজেপি। এছাড়াও ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণা হওয়ার ৩ দিনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রী বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার যেভাবে বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে, সে বিষয়ে আজ নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে এ দিন সাংগঠনিক সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া গিয়েছিলেন নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে।রাজ্য বিজেপির তরফে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া এক চিঠিতে লেখা হয়েছে, শুধুমাত্র কলকাতায় ২৫০০ কমিটিকে ওই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য স্পষ্ট। লক্ষ্য পুজো কমিটিগুলিকে তুষ্ট করা। কারণ এইসব ক্লাবগুলি ভোটে রাজ্য সরকারের পক্ষে একটি বড় ভূমিকা নিয়ে থাকে। এবার উপ নির্বাচনে প্রার্থী খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তাই ভোটের মুখে, এসব করে ভোটে ফয়দা তুলেত চাইছে সরকার।
আরও পড়ুন : সব পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার! করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে হবে দুর্গাপুজো, ঘোষণা সরকারের
কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে শিশির বলেন, “আমরা বিধি ভঙ্গের অভিযোগ করেছি নির্বাচন কমিশনের কাছে। পুজো কমিটিগুলোকে অনুদান দেওয়া হচ্ছে, আড়াই হাজার পুজো কমিটি কলকাতায় আছে। নির্বাচনের সময় বিধি ভঙ্গ করে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে ক্লাবগুলোকে। এই বিষয়ে আমরা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনেও যাব।”
ভবানীপুরে উপনির্বাচন এবং মুর্শিদাবাদের আসনে ভোটের জন্য যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হয়, সেই দাবিও জানাতে শোনা গিয়েছে বিজেপিকে। পদ্মশিবিরে আশঙ্কা, মাত্র তিন আসনে ভোটেও সন্ত্রাস হতে পারে। যাতে প্রতিটি বুথেই সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়।