কালীপুজোর পরের দিন, মঙ্গলবার দুপুরে নৈহাটির বড়মার মন্দিরে পুজো দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুরে মন্দিরে পৌঁছে প্রথমে কিছুটা সময় সেখানে কাটান তিনি। মন্দিরে বিশেষ পুজোয় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি মায়ের আরতিতেও অংশ নেন অভিষেক। মন্দিরের পাশের মণ্ডপে থাকা বড়মার মূর্তির সামনে একেবারে নিচে বসে পুজো দিতে দেখা যায় তাঁকে। প্রদীপ হাতে নিয়ে মায়ের আরতি সম্পূর্ণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্বভাবতই, কালীপুজোর পরদিন নৈহাটির বড়মার মন্দিরে ছিল উপচে পড়া ভিড়। সেই ভক্তদের মাঝেই পৌঁছন অভিষেক। পুজোর পাশাপাশি জনসংযোগও সারেন তিনি। কখনও ভিড়ের মধ্যে হাত নাড়িয়ে অভিবাদন জানান, আবার কখনও রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ছোটদের মাথায় স্নেহের হাত রাখেন।
অভিষেকের সঙ্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন বারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক এবং একাধিক শীর্ষ স্থানীয় দলীয় নেতা।
এর আগের দিন, অর্থাৎ কালীপুজোর দিনে বিকেলে অভিষেক গিয়েছিলেন লেক কালীবাড়িতে। সেখানে রাজ্যবাসীর সুস্থতা ও সৌভাগ্য কামনা করে পুজো দেন তিনি। পরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও শ্যামার আরাধনায় অংশ নেন অভিষেক।
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোর সময়েও নানা মণ্ডপে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে— কখনও পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে ফুচকা খেতে, কখনও তাঁদের হাতে উপহার তুলে দিতে। এবারও সেই ধারাবাহিকতায় কালীপুজোয় লেক কালীবাড়ি এবং নৈহাটির বড়মার মন্দিরে পুজো দিয়ে নিজেকে ভক্তিমগ্ন ভাবেই উপস্থাপন করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে বড়মার মন্দিরটি নতুন করে স্থাপনের পর উদ্বোধনের সময়ও সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। এক বছর পর ফের মা-দর্শনে এলেন অভিষেক, ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন পুজোর আনন্দ।