২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের এখনও অনেক দেরি। কিন্তু তার আগেই রাজনৈতিক মহল তপ্ত হয়ে উঠেছে সম্ভাব্য প্রার্থীতাকে ঘিরে। বিশেষত বিরোধী শিবিরে কে কোথা থেকে দাঁড়াবেন, সেই জল্পনায় উত্তাপ আরও বাড়ালেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম থেকে অভিষেক দাঁড়াতে চান বলে দাবি করেছিলেন সুকান্ত। সোমবার তার জোরালো জবাব দিলেন অভিষেক।
ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ এদিন মহেশতলায় ‘সেবাশ্রয়-২’ উদ্বোধন করতে গিয়ে বলেন, “দল চাইলে নন্দীগ্রামে দাঁড়াব, চাইলে দার্জিলিংয়ে দাঁড়াব। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। যে দায়িত্ব দল দেবে, আমি পালন করব। এটা আমাদের দলের ব্যাপার, আমাদের উপর ছেড়ে দিন।”
গত তিনবার রেকর্ড ভোটে ডায়মন্ড হারবার থেকে জিতে এসেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উদ্যোগে ডায়মন্ড হারবারে ‘সেবাশ্রয়’ প্রকল্প করোনা-পরবর্তী সময়ে বিশেষ সাড়া ফেলেছিল। সেই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্ব শুরু করতে এসেই তিনি বিজেপি নেতার কটাক্ষের পালটা দিলেন।
সাংবাদিকরা যখন সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চান, অভিষেক স্পষ্ট করেন—তিনি নিজে কখনও আসন বেছে নেন না, সিদ্ধান্ত নেয় দল। তাঁর জবাব রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে, কারণ নন্দীগ্রাম তৃণমূল–বিজেপি সংঘাতের প্রতীকী আসন হয়ে উঠেছে ২০২১ সাল থেকে।
অন্যদিকে, অভিষেকের বক্তব্যে সুকান্ত মজুমদারও ফের আক্রমণ শানান। বিজেপি সাংসদের কটাক্ষ,“অভিষেকের কথার উপর ভরসা করার কোনও যুক্তি আছে কি? দেখা যাক শেষমেশ কী হয়।”
২০২৬-এর ভোটের প্রস্তুতি তৃণমূল এবং বিজেপি দু’দলেই এখন জোরকদমে চলছে। এর মধ্যেই নন্দীগ্রাম, দার्जিলিং বা অন্য কোনও আসন—অভিষেক কোথা থেকে লড়বেন, তা নিয়ে জল্পনা আরও তীব্র হল রাজনৈতিক মহলে।